দেশ
Trending

ব্যক্তিগত ভ্রমণের ক্ষেত্রে সেনাকর্মীদের দিতে হবে টোল, জারি ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটির নির্দেশিকা …

Army personnel will have to pay toll in case of personal travel, National Highways Authority issued guidelines.

The Truth Of Bengal: ব্যক্তিগত ভ্রমণের ক্ষেত্রে সেনাকর্মীরা তাদের পরিচয়পত্র দেখিয়ে টোল প্লাজা পার করতে পারবেন না। তাঁদের গাড়িতেও ফাস্ট্যাগ লাগাতে হবে ও অন্যদের মতো দিতে হবে টোল ট্যাক্স।

সারা দেশ যখন নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে থাকে ওঁরা তখন অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকায় জেগে থাকেন। ওঁরা দেশের সেনা-জওয়ান, দেশের গর্ব। দেশের প্রতি কর্তব্যে অবিচল সেনা-জওয়ানরা। এ জন্য একাধিক ক্ষেত্রে তাঁদের ছাড় বা বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়ে থাকে। কেবলমাত্র একটি ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। ব্যক্তিগত গাড়িতে ফাস্ট্যাগ ব্যবহার করা সেনা যাওয়ানদের ক্ষেত্রেও বাধ্যতামূলক। টোল ট্যাক্স দিতে হয় সেনাকর্মীদেরও। টোল প্লাজায় ফাস্ট্যাগ ব্যবস্থা চালুর আগে গাড়ি থামিয়ে করের টাকা আদায় করা হত। সে সময় এমন অনেক লোক ছিল, যাঁরা পরিচয়পত্র দেখিয়ে কিংবা তর্ক করে টোল ট্যাক্স না দিয়ে পার পেয়ে যেতেন। কিন্তু বর্তমানে সে ব্যবস্থায় আনা হয়েছে আমূল পরিবর্তন। এখন প্রতিটি গাড়িতে ফাস্ট্যাগ থাকা বাধ্যতামূলক। না থাকলে, বিপুল পরিমাণে করা হয় জরিমানা। এখন প্রশ্ন হচ্ছে সেনা কর্মীদের টোল ট্যাক্স দিতে হয় কী না? সেনাবাহিনীর কর্মীরা তখনই টোল প্লাজায় ছাড় পেতে পারেন, যখন তাঁরা ডিউটিতে কিংবা সরকারি গাড়িতে ভ্রমণ করবেন। একজন কর্মী যদি ডিউটি অবস্থায় না থাকেন ও নিজস্ব গাড়িতে ভ্রমণ করেন, তাহলে ছাড়ের আওতায় আসবেন না তিনি। এমন অবস্থায় শুধু টোল ট্যাক্স নয়, সেই সঙ্গে ফাস্ট্যাগও বাধ্যতামূলক হবে সেনাকর্মীদের ক্ষেত্রেও। এ ব্যাপারে ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটির পক্ষ থেকে একটি নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে।

ব্যক্তিগত ভ্রমণের ক্ষেত্রে সেনাকর্মীরা তাদের পরিচয়পত্র দেখিয়ে টোল প্লাজা পার করতে পারবেন না। তাঁদের গাড়িতেও ফাস্ট্যাগ লাগাতে হবে ও অন্যদের মতো দিতে হবে টোল ট্যাক্স। জাতীয় সড়কে টোল দেওয়ার জন্য প্রতিটি চারচাকা গাড়িতে ফাস্ট্যাগ বাধ্যতামূলক করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। গাড়িতে ফাস্ট্যাগ লাগানো না থাকলে বা ফাস্ট্যাগ অকেজো থাকলে জরিমানা বাবদ দিতে হয় দ্বিগুণ পরিমাণে টোল ট্যাক্স। টোল প্লাজায় ডিজিটালি টোল দেওয়ার ব্যবস্থার পোশাকি নাম হল ফাস্ট্যাগ। ২০১৪ সালে চালু হয় এই ব্যবস্থা। সামনের কাঁচে স্টিকারের মতো লাগানো থাকে। টোল প্লাজা অতিক্রম করার সময় ফাস্ট্যাগের সঙ্গে যুক্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে অটোমেটিক টাকা কেটে নেওয়া হয়। এর ফলে টোল প্লাজায় ট্যাক্স দেওয়া নিয়ে যে দীর্ঘ গাড়ির লাইন পড়ত, তা এড়ানো সম্ভব হয়েছে। ব্যাঙ্ক, ই-কমার্স সংস্থা, ডিজিটাল ওয়ালেট মারফত কেনা যাবে এই ফাস্ট্যাগ। প্রতিটি টোল প্লাজাতেও ট্যাগ কেনার ব্যবস্থা আছে। ইস্যু করার পর পাঁচ বছর পর্যন্ত থাকে ফাস্ট্যাগের বৈধতা।

Free Access

Related Articles