দেশ

ফের ধস কালিম্পঙের লিকুভিরে, অবরুদ্ধ সিকিমগামী লাইফলাইন ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক

Another collapse in Kalimpong's Likuvir, blocked the life line National Highway No10 to Sikkim

The Truth of Bengal: লাগাতার বর্ষণের জেরে কালিম্পঙের কাছে লিকুভিরে ধস নেমেছে। যারজন্য পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। এখন আর কোনওমতেই যান চলাচল করছে না জাতীয় সড়ক দিয়েছে। লম্বা লাইন পড়ে গেছে গাড়ির।ধস বিধ্বস্ত এলাকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে বিকল্প পথ খোলার চেষ্টা করছে প্রশাসন।নতুন করে আর কোনও পর্যটক পাহাড়ে যাচ্ছেন না। এদিকে,উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকায় পাহাড়ও সমতলের নদীগুলো ফুলে ফেঁপে উঠেছে। শনিবার আবার ধস নামে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে। সকালে কালিম্পঙের লিকুভিরের কাছে ধস নামে।ধস সরিয়ে একমুখী যান চলাচল শুরু করা হয়েছিল। কিন্তু, বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ফের একবার ধস নামে। যার জন্য জাতীয় সড়কে যান চলাচল পুরোপুরিভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। বেশ কয়েক জায়গায় ধস সামনে   আসায়  তৎপরতার সঙ্গে যানচলাচল স্বাভাবিক করার  চেষ্টা করছে প্রশাসন।

জাতীয় সড়কের উপর পাথর, গাছ পড়ায় বিপত্তি বেড়েছে। সেই কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে জাতীয় সড়ক। ২৯ মাইলের কাছেও ধস নেমেছে বলে সূত্রের খবর। জাতীয় সড়ক বন্ধ হয়ে যাওয়ায়  শিলিগুড়ি-কালিম্পং, শিলিগুড়ি-সিকিম যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। তবে  খোলা রয়েছে লাভা গরুবাথান রুট। আপাতত সেই রুটেই গাড়িগুলিকে চলাচল করতে বলা হয়েছে। এদিকে ধসের জন্য জাতীয় সড়কে বিশাল যানজট হয়ে রয়েছে।নতুন করে আর পাহাড়ে পর্যটকরা যাচ্ছেন না।সিকিমে লাগাতার বৃষ্টি আর ধসের জন্য পর্যটকরা সেখানে যেতে ভরসা পাচ্ছেন না। নতুন করে লালটংবস্তিতে তিস্তার জল ঢুকে পড়ায় উদ্বেগ বাড়ছে।শনিবার সকালে জল অনেকটাই বেড়ে যায়।যারজন্য স্থানীয় মানুষের একাংশ  জলবন্দি হয়ে পড়েছেন।  তাঁরা আর বাইরে বেরোতে পারছেন না।

এদিকে,আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ফের ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে  জলপাইগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গের একাধিক জায়গায়। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস হল, ২৯,৩০ জুন এবং ৩ রা জুলাই অল্প থেকে ভারী বৃষ্টি  হতে পারে আর  ১লা ও ২রা জুলাই ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে। এদিকে শনিবার সকাল থেকে জলপাইগুড়ি জেলা জুড়ে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী যদি  সত্যি হয় তাহলে উত্তরবঙ্গের তিস্তা, সহ একাধিক নদীতে জলস্ফীতি দেখা দিতে পারে।তাই সিকিমের মতোই দার্জিলিংয়ের পর্যটন নির্ভর অর্থনীতি  যে পুণরায় ধাক্কা খেতে পারে সেকথা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

Related Articles