আইনি বিবাহে বয়সের ফারাক আসলে পুরুষতন্ত্রের একটি ধ্বংসাবশেষ: এলাহাবাদ হাইকোর্ট
Age gap in legal marriage is actually a relic of patriarchy: Allahabad High Court

Truth Of Bengal: সম্প্রতি এলাহাবাদ হাইকোর্টে একটি বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছিল। যেখানে বয়সের হেরফেরের কারণে বিচ্ছেদ চান বলে আবেদন করেছিলেন এক ব্যক্তি। সে মামলা চলাকালীন বেশ কিছু বিষয় লক্ষ্য করে হাইকোর্ট। সেখান থেকে দেশে বিয়ের বয়স নিয়ে নিজের মতামত জানাতে গিয়ে, সম্প্রতি এলাহাবাদ হাইকোর্ট বলেছে যে পুরুষ ও মহিলার বিয়ের বৈধ বয়সের ফারাক আসলে পুরুষতন্ত্রের একটি ধ্বংসাবশেষ ছাড়া আর কিছুই নয়।
বিবাহের ক্ষেত্রে পুরুষ এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে বয়স নির্ধারণ করা থাকলেও কোথাও গিয়ে মেয়েদের বেশ কিছু সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে বলে দাবি করে আদালত। কারণ, বর্তমানে ভারতে পুরুষদের জন্য বিয়ের ন্যূনতম বয়স ২১ বছর এবং মহিলাদের জন্য ১৮ বছর নির্ধারিত। বিচারপতি সৌমিত্র দয়াল সিং এবং দোনাদী রমেশের হাইকোর্ট বেঞ্চ বলেছে যে আইন প্রণেতারা পুরুষদের জন্য তিন বছরের অতিরিক্ত সময় নির্ধারণ করেছিলেন যাতে তারা শিক্ষা সম্পন্ন করে আর্থিকভাবে স্বাধীন হয়ে পরিবারের দায়িত্ব নিতে পারে। তবে আদালত মনে করেছে, এর ফলে মহিলাদের সেই একই সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।
জানা যায়, এক ব্যক্তি বিবাহ বিচ্ছেদ চেয়ে আদালতে আবেদন করেছিলেন। তিনি দাবি করেছিলেন, তাঁদের বিবাহ হয়েছিল ২০০৪ সালে। তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১২ বছর এবং তাঁর স্ত্রীর বয়স ছিল মাত্র ৯ বছর। এই মামলার শুনানির পরে হাইকোর্ট এই বিয়ে বাতিল ঘোষণা করে, কারণ এটি একটি ‘বাল্যবিবাহ’ ছিল বলে প্রমাণিত হয়। যা একেবারে বেআইনি।
এই মামলা চলাকালীন আদালত পর্যবেক্ষণ করে, বর্তিমান সময়েও পুরুষ ও মহিলার বিয়ের বৈধ বয়সের ফারাক আসলে পুরুষতন্ত্রের একটি ধ্বংসাবশেষ ছাড়া আর কিছুই নয়। পুরুষদের যে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে নারীরা সেই সুযোগ কেন পাচ্ছে না সেই প্রশ্নই কোথাও গিয়ে উঠে আসছে আদালতের এহেন মন্তব্যে।