প্রতিবাদের অভিনব রূপ: নিজের পিঠে চাবুক মেরে প্রশাসনকে শিক্ষা!
A novel form of protest: Teach the administration a lesson by slapping yourself on the back!

Truth of Bengal: তামিলনাড়ু বিজেপি প্রধান কে. আন্নামালাই শুক্রবার সকালে ছয়বার নিজেকে চাবুক মেরে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি সবুজ লুঙ্গি ও খালি গায়ে একটি বড় চাবুক হাতে দাঁড়িয়ে আছেন। সমর্থকদের উল্লাস ও স্লোগানের মাঝে তিনি নিজেকে ছয়বার চাবুক মারেন। সপ্তমবার মারার আগে এক সমর্থক এগিয়ে এসে চাবুক আটকান ও আন্নামালাইকে জড়িয়ে ধরেন।
VIDEO | BJP Tamil Nadu president K Annamalai (@annamalai_k) whips himself outside his residence in Coimbatore to condemn the police, and the state government for their ‘apathy’ in handling the case of sexual assault of a student of Anna University.#TamilNaduNews
(Full video… pic.twitter.com/v3G3DD3nn9
— Press Trust of India (@PTI_News) December 27, 2024
গতকাল সন্ধ্যায় আন্নামালাই ঘোষণা করেন, রাজ্যের শাসক দল ডিএমকের বিরুদ্ধে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয়ের উদ্দেশ্যে একটি বিশাল আন্দোলন শুরু করবেন। এই আন্দোলনের অংশ হিসেবে তিনি ছয়বার নিজেকে চাবুক মারবেন, ৪৮ দিনের উপবাস পালন করবেন এবং খালি পায়ে চলবেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “তামিল সংস্কৃতিকে যারা বোঝেন, তারা বুঝবেন এটি (আত্মপ্রহার) আমাদের সংস্কৃতির একটি অংশ। এটি আমাদের পূর্বপুরুষদের থেকে পাওয়া একটি পদ্ধতি।”
আন্দোলনের কারণ ব্যাখ্যা করে আন্নামালাই বলেন, “এই আন্দোলন কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়, বরং রাজ্যে চলমান অবিচারের বিরুদ্ধে। আন্না ইউনিভার্সিটির ঘটনাটি এর একটি উদাহরণ মাত্র। গত তিন বছরে নারীদের প্রতি অবিচার, সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার এবং দুর্নীতির ধারাবাহিকতা আমাদের এই পথে আসতে বাধ্য করেছে।”
চেন্নাইয়ের আন্না ইউনিভার্সিটিতে সম্প্রতি এক ছাত্রীকে যৌন নিগ্রহ ও তার বন্ধুকে মারধরের ঘটনার পর থেকেই আন্নামালাই-এর এই প্রতিবাদ শুরু। অভিযুক্ত ৩৭ বছর বয়সী এক ব্যক্তি, যিনি রাস্তার ধারে খাবারের দোকান চালাতেন, তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এই ঘটনার পর ডিএমকে এবং বিজেপি ও এআইএডিএমকের মধ্যে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে। আন্নামালাই ডিএমকে সরকারের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, “তামিলনাড়ু এখন অপরাধীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে।” আন্নামালাইয়ের এই অভিনব প্রতিবাদ ইতিমধ্যেই রাজ্য রাজনীতিতে উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে।