দেশ

শেখ হাসিনা-সহ ৪৬ জনের দুমাস সময় বাড়ল তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের

46 people including Sheikh Hasina extended two months to submit the investigation report

Truth Of Bengal : গত বছরের জুলাই-আগস্ট মাসে গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের এক মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় আরও দুই মাস বাড়ানো হয়েছে। আগামী ২০ এপ্রিল সময় নির্ধারণ করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

পাশাপাশি মানবতাবিরোধী অপরাধের আরেক মামলায় প্রাক্তন সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের-সহ বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের ৪৫ জন মন্ত্রী, উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, আমলার বিষয়েও তদন্ত প্রতিবেদনের সময় বাড়িয়ে ২০ এপ্রিল করা হয়েছে। ঢাকা-৭ আসনের প্রাক্তন সংসদ সদস্য সোলাইমান সেলিমকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি প্রাক্তন সংসদ সদস্য হাজী মহম্মদ সেলিমের পুত্র।

সোলাইমান সেলিম এখন অন্য মামলায় গ্রেফতার রয়েছেন। তিনিও ৪৫ আসামির একজন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল সোমবার এই আদেশ দেয়। ট্রাইব্যুনালের দুই সদস্য হলেন, বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনালের কাছে সময় বাড়ানোর জন্য আবেদন করেন চিফ প্রসিকিউটর মহম্মদ তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনের কাজ শেষ পর্যায়ে আছে। দুই মাস সময় চাইলেও তার আগেই প্রতিবেদন দাখিল করতে পারবেন বলে আশা করছেন তিনি। জবাবে ট্রাইব্যুনাল বলে, ‘সময় লাগলে সময় নিন। তবে অপূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবেন না।’ পরে দুই মাস সময় মঞ্জুর করেন ট্রাইব্যুনাল। আদালতে সব আসামির পক্ষে ওকালতনামা জমা দেন সুপ্রিম কোর্টের বর্ষীয়ান আইনজীবী জেড আই খান পান্না। আদালতকে তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর মৃত্যুর ভুল খবর ছড়িয়েছে।

শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদের-সহ এই ৪৬ জনের বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় এ নিয়ে তিন দফা বাড়ানো হল। এর আগে প্রথম দফায় এক মাস ও দ্বিতীয় দফায় দুই মাস সময় বাড়ানো হয়। ট্রাইব্যুনালে শুনানির সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের আরেক মামলার ১৬ জন আসামিকে হাজির করা হয়।

তাঁরা হলেন প্রাক্তন মন্ত্রী আনিসুল হক, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, প্রাক্তন মন্ত্রী আমির হোসেন আমু, মো. আব্দুর রাজ্জাক, কামরুল ইসলাম, মুহাম্মদ ফারুক খান, দীপু মনি, গোলাম দস্তগীর গাজী, শাজাহান খান, প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ, কামাল আহমেদ মজুমদার, প্রাক্তন সচিব মো. জাহাংগীর আলম ও অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।

Related Articles