বুকে চাপ, সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন, আপনি হয়ত ইমোশনাল হ্যাংওভার কাটিয়ে উঠতে পারেননি
Suffering from chest tightness, indecisiveness, you may not be able to overcome an emotional hangover

Truth Of Bengal: মদ বা মাদক খেলে যেমন নেশা হয়। নেশাগ্রস্ত অবস্থার জন্য হ্যাংওভার কাটিয়ে উঠতে দেরি হয়। তেমনই তীব্র কোনো মানসিক আঘাত বা ট্রমার মধ্যে দিয়ে গেলেও হয় ইমোশনাল হ্যাংওভার। মানসিক উদ্বেগ ও আঘাতের পাশাপাশি শারীরিক নানা সমস্যাও হয়। এর ফলে দীর্ঘ সময় ধরে আপনি সেই যন্ত্রণা কাটিয়ে উঠতে পারেন না। মন থাকে বিচলিত। মনে ঘুরপাক খায় মানসিক আঘাত ও ট্রমার কথাই। মানসিক উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা ও অবসাদ গ্রাস করে। মন মেজাজ বিগড়ে যায়। কাজেকর্মে মনঃসংযোগ বিঘ্নিত হয়।
ইমোশনাল হ্যাংওভারের উপসর্গ
পেশিতে অজানা কারণে টান, হৃদযন্ত্রের গতি বেড়ে যায় অস্বাভাবিক ভাবে, মন দুঃখে ভরে যায়, মাথা কাজ করে না, সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগেন, মাথার যন্ত্রণা, মনঃসংযোগ বিঘ্নিত, ক্লান্তি লাগে, বুকে চাপ অনুভব হওয়া, চোখে ঝাপসা দেখা, পেটের গন্ডগোল, বমিবমি ভাব, মন মেজাজ বিগড়ে যায়
ইমোশনাল হ্যাংওভার হলে স্ট্রেস হরমোন কর্টিসল আর অ্যাড্রেনালিনের নিঃসরণ হয়। মস্তিষ্কের আবেগের কেন্দ্র স্থল অ্যামিগডালা সক্রিয় হয়। রক্তচাপ বেড়ে যায়। হৃদযন্ত্রের গতি বেড়ে যায়। হার্টের অসুখের আশঙ্কা বাড়ে।
নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে কী করবেন
অপছন্দের কাজে বা মতামত দিতে না বলতে শিখুন। নিজের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে বাউন্ডারি বা বেড়াজাল দিতে শিখুন।
সময় বিশেষে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকুন। নিজের পছন্দকে গুরুত্ব দিন।
মনঃসংযোগ বাড়ান। পছন্দের গান শুনুন, বই পড়ুন। প্রকৃতি, গাছপালা, পশুপাখির সঙ্গে সময় কাটান।
টক্সিক ব্যক্তি বা খবর থেকে দূরে থাকুন। পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন। নিজের যত্ন নিন।