রাজ্যের খবরস্বাস্থ্য

অভিযোগ উঠলে রেয়াত নয়! স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে কড়া সরকার

Swasthasathi Card

The Truth of Bengal: রাজ্যবাসীর জন্য ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ‘স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প’ চালু করেছিলেন৷ ইতিমধ্যেই প্রায় আড়াই কোটি মানুষ স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলার সাধারণ মানুষকে ৫ লাখ টাকার স্বাস্থ্য বিমা দেওয়া হয়। প্রথম দিকে বেশ কিছু নিয়ম থাকলেও ২০২১ সালের নির্বাচনের আগে ‘স্বাস্থ্য সাথী’ প্রকল্প সবার জন্য বলে ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এই কার্ডের মাধ্যমে দরিদ্র সাধারণ মানুষ জটিল চিকিৎসা করার সুযোগ পাচ্ছে। রাজ্য সরকারের এই কার্ডের সুবিধা নিচ্ছেন প্রবীণ ব্যক্তিরাও। যদিও এই কার্ড থাকলেও অনেক বেসরকারি হাসপাতালে পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে না মাঝে মাঝে অভিযোগ ওঠে।

এবার সেই অভিযোগ নিয়ে পদক্ষেপ করতে চলেছে রাজ্য সরকার। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে ওঠা বিভিন্ন অভিযোগ নিরসনে সরকার প্রযুক্তি নির্ভর ব্যবস্থা চালু করছে করছে। এবার থেকে যদি এক বছরে বেসরকারি কোনও হাসপাতাল ও নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে অনিয়মের ১০টি অভিযোগ আসে, তা হলে তবে ওই হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী সংক্রান্ত সমস্ত পরিষেবা স্বয়ংক্রিয় ভাবে ব্লক হয়ে যাবে৷ শুধু তাই নয়, মোটা অঙ্কের জরিমানাও করা হবে। এর জন্য স্বাস্থ্যসাথীর নিয়ন্ত্রক সফটওয়্যারে প্রয়োজনীয় রদবদল করা হচ্ছে। ওই সফটওয়ারে স্বাস্থ্য সাথী সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য নথিভুক্ত করা থাকে। ফলে এই ধরনের অভিযোগ সহজেই চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। স্বাস্থ্য দফতর থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে একথা জানানো হয়েছে।

তা ছাড়া যদি কোনও চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা হয়, তা হলে সেই চিকিৎসক স্বাস্থ্যসাথীর আওতায় কোনও চিকিৎসা করতে পারবেন না বলেও  হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। অভিযোগগুলি ভাগ করতে তিনটি রঙে চিহ্নিত করা হবে। থাকবে লাল, হলুদ এবং সবুজ রং। লাল রং দিয়ে গুরুতর ত্রুটি চিহ্নিত করা হবে। হলুদ ব্যবহার হবে মাঝারি ধরনের কোনও অভিযোগ থাকলে। আর যাদের বিরুদ্ধে খুব কম ত্রুটি ধরা পড়বে, তাদের জন্য ব্যবহার হবে সবুজ রং। অভিযোগের গুরুত্ব অনুযায়ী স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের পরিষেবা বন্ধ করার পাশাপাশি আর্থিক জরিমানা করা হবে। স্বাস্থ্য দফতর নতুন যে সফটওয়‌্যার তৈরি করেছে তাতে অন্তত ২ হাজার বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমকে যুক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রায় ২০০  সরকারি চিকিত্‍সককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমগুলির ভুল-ত্রুটি ধরবেন। প্রয়োজনে সর্তক করবেন।

Related Articles