স্বাস্থ্য

যেতে হবে না পার্লারে, কেমিক্যাল ছাড়াই চুল হবে কুচকুচে কালো, জানুন বিস্তারিত

No need to go to the parlor, hair will be silky black without chemicals, know the details

Truth Of Bengal: মৌ বসু: নারী, পুরুষ নির্বিশেষে সকলেই একঢাল সুন্দর কুচকুচে কালো চুলের কামনা করে। বয়সের কারণেই শুধু নয় আজকাল দূষণ ও অত্যাধিক নানা রকম রাসায়নিক ব্যবহার করার ফলে অসময় পাকতে বা ধূসর হতে শুরু করে চুল। ধূসর বা সাদা চুল অসময় দেখা দিলে তা আমাদের ব্যক্তিত্বের ওপরও ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। বয়সের তুলনায় বুড়ো লাগে। নিয়মিত কারোর পক্ষেই বিউটি পার্লারে বা সালোঁতে গিয়ে চুলের ট্রিটমেন্ট করানো সম্ভব হয় না। আবার ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহার করলেও চুলের হতে পারে দফারফা। তাই ঘরোয়া উপাদানেই চুলের নিয়মিত যত্ন নিলে চুল থাকবে কুচকুচে কালো।

১) চুলের স্বাস্থ্য রক্ষায় আমলকীর গুরুত্ব অপরিসীম। ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ আমলকী ব্যবহার করলে চুলের অকাল পক্কতা রোধ হয়। চুল স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ও মসৃণ থাকে। আমলকী গুঁড়ো করে বা কেটে খেতেও পারেন আবার অল্প নারকেল তেলে আমলকীর টুকরো বা গুঁড়ো মিশিয়ে ফুটিয়ে ঠান্ডা করে চুলে ও তালুতে নিয়মিত লাগালে উপকার হয়। এছাড়াও আমলকীর রসের মধ্যে লেবুর রস মিশিয়ে চুলে রাতে লাগান। সকালে মাথা ধুয়ে নিন।

২) রুক্ষ, শুষ্ক ধুসর বা অকালে বুড়িয়ে যাওয়া চুলের স্বাভাবিক রঙ, জেল্লা ফিরিয়ে আনতে জুড়ি মেলা ভার কারিপাতার। কয়েকটা কারিপাতা ফোটান নারকেল তেলের সঙ্গে। তারপর সেটি ঠান্ডা করে ছেঁকে নিয়ে চুলে লাগান নিয়মিত। চুল হবে মসৃণ ও নরম, কুচকুচে কালো।

৩) নারকেল তেল চুলের অকাল পক্কতা রোধ করে। নিয়মিত নারকেল তেলের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে চুলে লাগান। এক ঘণ্টা রেখে ধুয়ে নিন। চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।

৪) চুলের স্বাস্থ্য রক্ষায় অসাধারণ টনিক হল পেঁয়াজের রস। পেঁয়াজের রস সরাসরি মাথার তালুতে ও চুলে লাগান। তারপর মাইল্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। নিয়মিত করলে চুলের অকাল পক্কতা রোধ হয়।

৫) লিকার চা শুধু চুলের ধূসর ভাবই কাটায় না। চুলের রুক্ষ ভাব কমায়। চুলকে নরম ও মসৃণ করে। ২ চামচ চা গুঁড়ো জলে ফোটান ভালো করে। এক চামচ নুন দিন। ঠান্ডা করে ছেঁকে নিয়ে চুলে লাগান। ১৫-২০ মিনিট রেখে চুল ধুয়ে নিন। সপ্তাহে ১-২ বার নিয়মিত করলে চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।

Related Articles