মেদ জমে মধ্যপ্রদেশ স্ফীত হয়েছে? জানুন ভুঁড়ি কমানোর সহজ উপায়
Learn easy ways to lose fat

The Truth Of Bengal, Mou Basu : মেদ জমে মধ্যপ্রদেশ স্ফীত হয়েছে। সুস্থ থাকতে শরীরের যত্ন নিতে হবে। অনেক করেও দেখা যাচ্ছে ভুঁড়ি কিছুতেই কমছে না। এদিকে, ভুঁড়ির জন্য প্রিয় পোশাক পরতে পাচ্ছেন না। বিসদৃশ লাগছে।
বাড়িতে সহজে কীভাবে ভুঁড়ি কমাবেন?
• স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা বেছে নিন ফিটনেসকেই নিজের জীবনের অঙ্গ করে নিন। দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকবেন না। আবার প্রচুর পরিমাণে খাবার গপগপ করে খেয়ে ফেলবেন না। ব্যালেন্সড ডায়েট বেছে নিন। প্রয়োজনে ডাক্তার ও পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন।
• বেড়াল ডিঙতে পারবে না এমন এক থালা ভাত, আস্ত খাসি, এক জামবাটি তরকারি এসব শুনতে ভালো লাগলেও শরীরের জন্য একেবারে বিষ। তাই খান মেপেজুপে। পোরশনের ওপর নজর দিন। এতে অতিরিক্ত খেয়ে বাড়তি ক্যালরি শরীরে জমবে না। ভুঁড়ি হবে না। তাই কতটা পরিমাণে খাচ্ছেন সেদিকে খেয়াল রাখা বিশেষ জরুরি।
• শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকা জরুরি নিশ্চয়ই কিন্তু অতিরিক্ত শরীরচর্চা করে সুস্থ শরীরকে অযথা ব্যস্ত করে তুলবেন না। অতিরিক্ত শারীরিক কসরত করলে অন্যান্য শারীরিক সমস্যা হতে পারে।
• ফল, শাক সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। ক্যালরিও কম থাকে। তাই সারাদিনে ফল, শাকসবজি খান। মহিলাদের সারাদিনে ২৫ গ্রাম আর পুরুষদের ৩৮ গ্রাম ফাইবার লাগে।
• প্রোটিন হয়ত সরাসরি ভুঁড়ি কমায় না কিন্তু পরোক্ষে সাহায্য করে। প্রোটিন সাধারণত ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাই প্রোটিনযুক্ত খাবার খেলে খাইখাই ভাব কমবে। মেদও কম জমবে। শাকসবজি থেকে প্রোটিনের পাশাপাশি ফাইবারও মিলবে যা শরীরের জন্য একান্ত জরুরি।
• শরীরে বিশেষ করে পেটে মেদ জমলে অনেকেরই ধারণা না খেয়ে থাকলে মেদ ঝরবে। এটা একেবারে ভুল ধারণা। দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকলে পেটে গ্যাস জমবে। নানান রকম শারীরিক সমস্যা হবে৷ তাই একসঙ্গে অনেক খাবার বেশি পরিমাণে না খেয়ে বারেবারে অল্প পরিমাণে খাবার খান। এতে খাইখাই ভাব কমবে।
• জিমে গিয়ে গা না ঘামালেও চলবে তারচেয়ে প্রতিদিন হাঁটুন। হাঁটাচলা, বাড়িতে কাজকর্ম করেও অনেক বেশি ভালো ভাবে গা ঘামানো সম্ভব। তাই প্রতিদিন কী কী কাজ করবেন,আগে থাকতেই তার একটা রুটিন ঠিক করে ফেলুন।
• শরীরকে চনমনে রাখতে আর্দ্র রাখা জরুরি। তাই সারাদিনে প্রচুর পরিমাণে জল খান। এতে ত্বকও ভালো থাকবে। ক্যালরি বার্ন করা বা মেদ ঝরানোর জন্য এক্সারসাইজ করা জরুরি। এতে পেশি যেমন ঠিক থাকবে তেমনই মেটাবলিজম রেটও স্বাভাবিক থাকবে।
• চিনি খাওয়া কমাতে বললেই অনেকে চিনি খাওয়া কমিয়ে দিয়ে কৃত্রিম বা আর্টিফিশিয়াল চিনির দিকে হাত বাড়ান। এটা করবেন না। ফল বা দুধে যে শর্করা থাকে তার কথা বলা হচ্ছে না। খাবার থেকে চিনির পরিমাণ কমান। মিষ্টি জাতীয় খাবার, কেক, পেস্ট্রি, আইসক্রিম, ক্যান্ডি, কেক, কার্বোনেটেড ড্রিঙ্ক, সোডাতে প্রচুর পরিমাণে অ্যাডেড সুগার থাকে। তাই এগুলো খাওয়া কমান।
FREE ACCESS