
The Truth of Bengal,Mou Basu: উৎসবের মরসুম চলছে। বাঙালির শ্রেষ্ঠ কার্নিভাল দুর্গাপুজোর পর্ব মিটতে না মিটতেই আজ কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো। বাংলার ঘরে ঘরে চলছে ধনদেবী মালক্ষ্মীর আরাধনা। লক্ষ্মীপুজোয় উপোস করে পুজো করেন মহিলারা। কিন্তু যারা ডায়াবেটিক তাঁদের পক্ষে শরীর সুস্থ রাখা অসাধ্য হয়ে পড়ে। উপোস ও পরবর্তী সময়ে উল্টো পাল্টা খাবার খাওয়ার জন্য রক্তে শর্করার মাত্রা তারতম্য ঘটে।
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে লক্ষ্মীপুজোর উপোস করেও কীভাবে সুস্থ থাকবেন-
১) উৎসবের সময় ঘুমের দফারফা হয়। ঘুমের ব্যাঘ্যাত ঘটলে শরীর সুস্থ রাখা খুবই কঠিন। তাই পুজোর কাজকর্ম সামলেও পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি।
২) উপোসের সময় ও পুজোর পর উপোস ভেঙে শরীরকে আর্দ্র রাখতে প্রচুর পরিমাণে জল বা শরবত খাওয়া জরুরি। শরবতে মিষ্টি দেবেন না। ডিহাইড্রেশন হলেই ডায়াবেটিকদের রক্তের শর্করার মাত্রা তারতম্য ঘটে। জল বা তরল পদার্থ খেলে শরীর থেকে ক্ষতিকারক টক্সিন বের হয়ে যায়। লেবুর শরবত বা ডাবের জল খান উপোসের সময় শরীরে ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্য বজায় রাখতে।
৩) উপোস খালি পেটে করবেন না। শরবত খেলে তাই দই দিন। শরবতের বদলে দুধ খেতে পারেন৷ খাবারে দই, দুধ, ইয়োগার্ট, চিজের মতো প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান যা খাইখাইভাব কমাবে।
৪) ময়দা নয় আটার তৈরি লুচি বা পরোটা খান। কারণ আটায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে।
৫) বেশি মশলাদার ও নোনতা খাবার খাবেন না। সুস্বাদু হলেও এসব খাবার রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে তোলে।
৬) লো-গ্লাইসেমিক ইনডেক্স থাকা এমন খাবার খান যা রক্তের শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে তুলবে না। শশা, হেলদি ফ্যাট আছে এমন বাদাম খেতে পারেন।
৭) পনির, সয়া পনির বা টোফু, কাবলিচানা, গোটা বা ভাঙা মুগডালের মতো পুষ্টিকর প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান। কারণ, প্রোটিন রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
৮) গ্রিল বা বেক করা বা সেদ্ধ করে অল্প সাঁতলানো খাবার খান। উপোস ভেঙে মিষ্টি খাবেন না। বিশেষ করে আর্টিফিশিয়াল মিষ্টি দেওয়া সফট ড্রিঙ্কস একেবারে খাবেন না। কারণ তা রক্তের শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে তোলে।
৯) প্রচুর পরিমাণে হাউমাউ করে হাবিজাবি খাবার বেশি পরিমাণে খাবেন না। বেশি খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। তাই ভারসাম্য বজায় রেখে খান।
Free Access