স্বাস্থ্য

প্রবল গরমে হতে পারে স্ট্রোক, ক্ষতি করতে পারে  হার্টের ! জানুন মোকাবিলার উপায়…

Heat can cause stroke, can stop your heart ! Learn how to keep safe...

The Truth Of Bengal :  গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের জেরে বিশ্বের নানা প্রান্তের মতোই ভারতেও বাড়ছে উত্তাপ।প্রবল গরমে পারদ ক্রমশ উর্ধ্বগামী হচ্ছে। বিজ্ঞানীদের একাংশ বলছেন, ওজন স্তরের ওপরের প্রতিরোধকারী অংশ দুর্বল হওয়ায়  এই দুনিয়ায় আল্ট্রা ভায়োলেট রে বা অতি বেগুনি রশ্মির আঁচ লাগছে। যার জন্য বাড়ছে ক্যান্সার থেকে নানা রোগ।  এর মতোই  আরও কিছু রোগও কামড় বসাতে পারে জনজীবনে। চিকিত্সকমহল বলছেন, অতিরিক্ত গরম আর দাবদাহের জন্য যে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন।বাড়তে পারে স্ট্রোকের মতো রোগ।যদি আপনি আগাম সতর্কতা না নেন তাহলে আপনার জীবন সংশয়ও হতে পারে।যদি কেউ প্রখর রোদের আঁচ বাঁচিয়ে বেঁচে থাকেন তাঁর হার্টও দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। চিকিত্সক মহল বলছে, হিট স্ট্রোক, হিট স্ট্রোকের মতো রোগের জন্য দেহে দুর্বলতা,মোচড় দেওয়া,গা বমিবমি,দ্রুত হার্টবিট বেড়ে যাওয়া, মাথা ব্যাথা,তন্দ্রাচ্ছন্ন ভাব দেখা যেতে পারে। কখনও আবার শরীরে মোচড় দিতে পারে।

কিভাবে এই হিট স্ট্রোকের মতো রোগ রুখবেন ?

চিকিত্সকরা বলছেন, তাপমাত্রার উর্ধ্বগামী হলে ডি হাইড্রেশন হতে পারে। যার জন্য শরীরে রক্তের প্রবাহ কমে যেতে পারে। শরীরের নানা অংশে কঠিন সমস্যা দেখা দিতে পারে। যদি আপনার শরীরে ডিহাইড্রেশন বাড়ে তাহলে রক্ত মোটা হয়ে যেতে পারে,তাতে হার্ট পাম্প করতে অসুবিধার মুখে পড়তে পারে।রক্ত জমাট বেঁধে গেলে,অবধারিতভাবে হার্ট স্ট্রোক হতে পারে।রিলায়েন্স হাসপাতাল ও রিসার্চ সেন্টারের চিকিত্সক ডাঃ দিব্য গোপাল এবিষয়ে জানিয়েছেন, অতিরিক্ত উত্তাপের জন্য অনেক সময় আপনার শরীর তা সামলাতে পারবে না।শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের ভারসাম্য নাও থাকতে পারে। যারজন্য অসংখ্য রোগ দানা বাঁধতে পারে। হাইপারথারমিয়া,হিথস্ট্রোক,হিট ক্যাম্পের মতো রোগ আপনার শরীরকে দুর্বল করে দিতে পারে।তথ্য বলছে, ভারতে প্রতিবছর ১লক্ষ মানুষের মধ্যে ১৪৫ জন এই ধরণের বয়সজনিত স্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন,আগামীদিনে এই রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে ভারতের মতো উষ্ণ দেশে।

যেসব মানুষ আউটডোরে কাজ করেন বা খেলায় মেতে থাকেন তাঁদের ঝুঁকিটা সব থেকে বেশি। প্রতিদিন ব্যায়াম বা খেলাধূলা করা শরীরের পক্ষে ভালো হলেও কখনও কখনও তা এড়ানো উচিত।কারণ অতিরিক্ত গরমে, কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমকে ব্যাহত করতে পারে।হার্ট ঠিকমতো পাম্প না করতে পারলেই হার্ট ব্লক বা হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা রয়েই গেছে।

চিকিত্সকরা বলছেন ,চড়া রোদে খোলা আকাশের নীচে শারীরিক কসরত না করে ছাউনির নীচে বা গাছের ছায়ায় থাকাই বাঞ্চনীয়। একইসঙ্গে আপনার শরীরে যাতে পর্যাপ্ত জল-লবণ সহ অন্যান্য উপাদানের ভারসাম্য থাকে তাও লক্ষ্য রাখা দরকার বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত।সকাল বেলায় শরীরের ভিটামিনের জন্য সূর্যালোক নেওয়া যেতে পারে।কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই চড়া রোদ এড়িয়ে চলতে হবে।তাতে অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।থাকে স্ট্রোকের মতো বিপদও।তাই শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতে চড়া রোদে বেরোনোর সময় সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।সানগ্লাসের মতোই মাথায় টুপি,ছাতা বা পানীয় জল সঙ্গে রাখা দরকার। বায়ু দূষণের কারণে শ্বাসকষ্ট হতে পারে,হতে পারে শরীরে জ্বালা।তাই জ্বালাপোড়া দশা থেকে বাঁচার জন্য বিবিধ উপায় আছে।

স্ট্রোকের লক্ষণ কী  ? জেনে নিন…

১.শরীরের একদিকে দুর্বলতা দেখা দিতে পারে

২. কথা বলতে গেলে কষ্ট অনুভব করতে পারেন

৩. কথা অনেক সময় জড়িয়েও যেতে পারে

৪. আপনার মুখের একদিকের মাসেলের নিয়ন্ত্রণ হারাতে পারেন

. গা বমি ভাব

৬. ঘাড় শক্ত হয়ে আসতে পারে

৭. আবেগের অস্থিরতা দেখা দিতে পারে,ব্যক্তিত্বে পরিবর্তন হতে পারে

৮. হতভম্ব ভাব বা কি করবো না করবো তাই নিয়ে চিন্তা হতে পারে

৯. স্মৃতি ভ্রংশ হতে পারে

১০. মাথা ব্যথা হতে পারে অতিরিক্ত

১১, আপনি সংজ্ঞাহীন হতে পারেন

১২. কোমায় চলে যেতে পারেন

কিভাবে এই রোগের মোকাবিলা করবেন ?

১. আপনি পর্যাপ্ত জলের সঙ্গে ডাব খান।খেতে পারেন লবণযুক্ত জল,লেবুর জল,বাটারমিল্ক

২. অবশ্যই আপনি মদ্যপান বা সুরা পান থেকে বিরত থাকবেন

৩. বাইরে কাজে গেলে টানা রোদে থাকবেন না।চড়া রোদ এড়িয়ে চলুন।পারলে মাঝে মাঝে অবশ্যই কর্মবিরতি রক্ষা করুন।

৪. গরমকালে পরিপাকের সুবিধার জন্য সহজপাচ্য খাবার খান বা হাল্কা খাবার খান।

৫. হাইব্লাড প্রেসার একটি গুরুতর রোগ।প্রেসার যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে সেজন্য লক্ষ্য রাখুন।ঘন ঘন প্রেসার চেকআপ করুন।

সাধারণতঃ  প্রেসার ১২০ /৮০

Related Articles