জানেন কি রক্তচাপ উপেক্ষা করলেই ভয়ঙ্কর বিপদ হতে পারে
Did you know that ignoring blood pressure can be dangerous

Truth of Bengal: এখন প্রায় ঘরে ঘরেই উচ্চ রক্তচাপের রোগী রয়েছেন। রক্তচাপ খুব বেশি বেড়ে গেলে শরীরে নানা রকম জটিলতা হতে পারে। এমনকি বিভিন্ন অঙ্গের কাজকর্ম বিকল হয়ে যেতে পারে। ফলে সুস্থভাবে বাঁচতে ও দীর্ঘ পরমায়ু লাভ করতে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা খুব প্রয়োজন।
৮০ বছর পরে চিকিৎসাবিজ্ঞানের প্রভূত উন্নতি হওয়া সত্ত্বেও এই আধুনিক পৃথিবীর বহু মানুষ হাইপারটেনশনে ভোগেন। প্রসঙ্গত বলা যায়, টেনশন আর হাইপারটেনশন এক কথা নয়, তবে এটা বলা যেতে পারে টেনশন মানে মানসিক চাপ আর হাইপার টেনশন অর্থাৎ উচ্চ রক্তচাপ।
উচ্চ রক্তচাপ দীর্ঘদিন থাকলে সবচেয়ে ক্ষতি হয় কিডনি, হার্ট এবং ব্রেন বা মস্তিষ্কর। ফলে আজ দিকে দিকে কিডনি ফেলিওর, হার্ট অ্যাটাক, হার্ট ফেলিওর, ব্রেন স্ট্রোক, ডিমেনশিয়া প্রভৃতি অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বাড়ছে। ফলে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত রোগী ক্রমশ মাল্টিঅর্গান ডিসফাংশন বা ফেলিওরের কবলে পড়ছে, এই ছবি এখন সর্বত্র ।
আমাদের আধুনিক সভ্যতা যেভাবে অগ্রগতি লাভ করছে তাতে হাইপারটেনশন আগামীদিনে বেড়েই চলবে। খাবার খাওয়ার পরিবর্তন যেমন বেশি মিষ্টি ও ফ্যাট খাওয়া, বেশি নুন খাওয়া, ফাস্ট ফুড ও প্রসেসড ফুড খাওয়া, নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম না করা, বেশিক্ষণ বসে থাকা, বসে বসে টিভি দেখা, অতিরিক্ত ধূমপান ও মদ্যপান করা, ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হওয়া, মানসিক চাপ ও অশান্তি বৃদ্ধি পাওয়া ইত্যাদি কারণেই হাইপারটেনশনের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে।
ফলে হাইপারটেনশন থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত ব্যায়াম ও শরীরচর্চা করা, খাবার ও মদ্যপানে সংযম আনা, ডায়াবিটিস ও স্থূলত্ব নিয়ন্ত্রণ করা, ধূমপান ও মদ্যপান বর্জন করা, মানসিক চাপমুক্ত হয়ে জীবনযাপন করা অত্যন্ত জরুরি। সর্বোপরি নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা করানো, চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া এবং প্রয়োজনমতো নিয়মিত রক্তচাপের জন্য ডাক্তারি পরামর্শ মেনে ওষুধ খাওয়া খুবই প্রয়োজনীয়।