স্বাস্থ্য

বিশ্বজুড়ে এখন নয়া ট্রেন্ড! হোক্কাইডো মিল্কে চলছে ত্বকের পরিচর্যা, জানুন বিস্তারিত

A new trend is now happening around the world! Skin care is being done at Hokkaido Milk, know the details

Truth Of Bengal: মৌ বসু: প্রাচীন সময় রোম, মোগল হোক কিংবা মিশরীয় সাম্রাজ্যে সম্রাট ও সম্রাজ্ঞীরা ত্বকের পরিচর্যায় দুধ ব্যবহার করতেন বলে জানা যায়। মিশরের রানি ক্লিওপেট্রা ত্বকের পরিচর্যায় উটের দুধ ব্যবহার করতেন বলে জানা যায়। সেই হিসাবে সৌন্দর্য রক্ষায় দুধের ব্যবহারের প্রক্রিয়া বহু প্রাচীন। বাড়িতে তৈরি ঘরোয়া ফেসপ্যাকে হরদমই দুধ ব্যবহার করা হয়। তবে বিউটি ট্রিটমেন্টে সাম্প্রতিক সময় গোটা বিশ্বে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে নয়া বিউটি ট্রেন্ড ‘হোক্কাইডো মিল্ক’-এর ব্যবহার।

কী এই হোক্কাইডো মিল্ক?

এটি হল এক রকমের ক্রিমি দুধ যা শুধু জাপানে নয় গোটা বিশ্বে ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। উচ্চ মানের এই ক্রিমি টেক্সচারের দুধ ত্বকের পরিচর্যায় ব্যবহার করা হচ্ছে। অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর জাপানের হোক্কাইডো দ্বীপ। সেখানকার গোরুদেরই দুধকে বলা হচ্ছে হোক্কাইডো মিল্ক। মনোরম আবহাওয়া, বিস্তৃত ঘাসজমি আর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন জলের জন্য জাপানের হোক্কাইডো দ্বীপ ডেয়ারি ফার্মিংয়ের জন্য একেবারে আদর্শ। ১৮ শতকে ইউরোপীয়দের হাত ধরে হোক্কাইডো দ্বীপে দুধের ব্যবসা জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। আজ জাপানে সিংহভাগ দুধ আসে হোক্কাইডো দ্বীপ থেকে। আজ গোটা বিশ্বে জাপানের হোক্কাইডো দ্বীপ থেকে আসা উন্নত মানের দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য জনপ্রিয়।

ত্বকের পরিচর্যায় কেন হঠাৎ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে জাপানের হোক্কাইডো মিল্ক?

গোটা বিশ্বে জাপানিদের মসৃণ, টানটান, জেল্লাদার ত্বকের কদর। হোক্কাইডো মিল্ক হল ফ্যাট ও প্রোটিনে সমৃদ্ধ। তাই এই বিশেষ রকমের দুধ দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করলে ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা ফিরে আসে। ত্বক উজ্জ্বল, মসৃণ ও নরম হয়। এই দুধ ময়েশ্চারাইজার হিসাবে খুবই উন্নত। ত্বকের রুক্ষ ও শুষ্ক ভাব কমে। প্রচুর পরিমাণে ল্যাকটিক অ্যাসিড থাকে বলে হোক্কাইডো মিল্ক ব্যবহার করলে ত্বকের মরা কোষ দূর হয়। ত্বক উজ্জ্বল হয়। ত্বকের স্বাভাবিক জেল্লা বজায় থাকে। ত্বকের পাশাপাশি হোক্কাইডো মিল্কে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ডি, ক্যালসিয়াম, ফ্যাট, প্রোটিন থাকে যা হাড়, পেশিকে মজবুত করে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

Related Articles