
The Truth of Bengal: আস্ত একটা নয়া নগর জন্মলগ্ন থেকেই আস্তাকুঁড়ে জায়গা করে নিতে পারে? হয়তো পারে, বৈজ্ঞানিক কোনও ভিত্তি না থাকলেও পরিবেশ পরিস্থিতিতে অপয়া শব্দটা এখন বেশ খাটে। হোক না সে দেশ কালের গণ্ডী পেরিয়ে। আসলে সিদ্ধান্ত, এই শব্দটাই যতটা হাল্কা শোনায় ঠিক ততটাই এর গভীরতা। একটা সিদ্ধন্ত যেমন মানুষকে পতনের মুখ দেখাতে পারে, তেমনই হয়তো পেতে পারে নয়া উড়ান।
হেঁয়ালি পর্বে না গিয়ে, আসি মূল কথায়। ভিয়েতনামের উত্তরে হানোই শহর থেকে পশ্চিমে ১৪ কিলোমিটার দূরে রয়েছে হা ডোং জেলার, ভান ফু বলে একটি জায়গা সেখানে প্রায় ৩৮ হেক্টর জায়গা জুড়ে তৈরি হয়েছিল নগরায়ণ। এই শহর নির্মাণে ব্যয় করা হয় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা (ভারতীয় মুদ্রার হিসেব) মূলত মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তদের জন্যই তৈরি হয় এই আবাসন প্রকল্প। কী নেই, ফ্রেঞ্চ ডিজাইনের ভিলা। ফ্ল্যাট, ডুপ্লেক্স বাংলো। ঝাঁ চকচকে রাস্তা সুইমিং পুল, গার্ডেন। পানীয় জল, নিকাশি ব্যবস্থা। একটা অত্যাধুনিক শহর বলতে যা বোঝাই তাই। কিন্তু..এই নগর এখন ভৌতিক নগর বলে পরিচিত। ২০০৮ সালে প্রকল্পটি চালু হয় এবং শেষ হয় ২০১৩ সালে।
মোট ১৩০০ টি পরিবারের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এই বৃহৎ আবাসন প্রকল্প তৈরি হলেও, গুটি কয়েক মানুষ এখানে বাড়ি কেনেন। আর যাঁরা কিনেছেন, তাঁদেরও অবস্থা এখন ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি। অধিকাংশ বাড়ির সামনে গজিয়ে আগাছা, অসম্পূর্ণ রয়েছে বহু বাড়ির কাজ। বেশ কিছু সম্পূর্ণ বাড়ি হয়েএ উঠে আবর্জনা ফেলার জায়গা।
আরও পড়ুন- শ্রীলঙ্কার এই প্রাসাদ নির্মাণ করেছিলেন দেবকুলের স্থপতি বিশ্বকর্মা
বিদেশীদের কাছে এই জায়গা হয়ে উঠে আর এক পর্যটন কেন্দ্র। স্থানীয়দের মত, অপরিকল্পিত সরকারি নীতি এই সর্বনাশের মূল।
কী ভাবে যাবেনঃ হানোই সিটি সেন্টার থেকেই বেশ কিছু বাস যাচ্ছে এই জায়গার উপর দিয়ে।