
The Truth of Bengal: রাশিয়া থেকে নির্বাসিত হওয়ার পর বেলারুশে জায়গা করেছে ইয়েভগেনির প্রিগোজিনের তৈরি করা ওয়াগনার বাহিনী। ইউক্রেন যুদ্ধে বড় ভূমিকা নিয়েছিল এই বাহিনী। শুধু ইউক্রেন নয়, সিরিয়া এমনকি আফ্রিকার কয়েকটি দেশেও পুরো দমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ওয়াগনার বাহিনী। কিন্তু সম্প্রতি এই বাহিনীর প্রধান প্রিগোজিনের বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যুর পরেই প্রশ্ন ওঠে, এই বাহিনীর নেতৃত্ব কে দেবে। সেই প্রশ্নের উত্তর এখনও অধরা।
যদিও মনে করা হচ্ছে, নেতৃত্বহীন এই ওয়াগনার বাহিনী এখন ছন্নছাড়া, আন্তর্জাতিক স্তরে এই ভাড়টে বাহিনীকে বিভিন্ন সন্ত্রাসবাহিনী অর্থের লোভ দেখিয়ে ব্যবহর করতে পারে। ব্রিটিনেরে স্বরাষ্ট্র দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, ওয়াগনার বাহিনীর কার্যকলাপের প্রকৃতি ও মাত্রা এবং বিদেশে ব্রিটিশ ‘নাগরিকদের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই ২০০০ সালে ব্রিটেনে পাস হওয়া সন্ত্রাস আইনে এই গোষ্ঠীকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ব্রেভারম্যান বলেছেন, ওয়াগনার একটি হিংসাত্ম ও ধ্বংসাত্মক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন। একে বিদেশের মাটি ভ্লাদিমির পুতিন রাশিয়ার সামরিক হাতিয়ার হিসেবে কাজ করেছিল। তাঁর মতে, ওয়াগনার বাহিনী যুদ্ধক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক কোনও আইনই মানে না। লুটপাট, নির্যাতন ও বর্বরোচিত নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে এরা যুক্ত। ইউক্রেন, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকায় এরা মানবাধিকারের ক্ষেত্রে বড় হুমকি। সেই কারমেই এই সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনকে সাহায্য করা হচ্ছে।
গত জুন মাসে রাশিয়ার সামরিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে স্বল্পমেয়াদি সশস্ত্র বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন ওয়াগনার বাহিনীর প্রধান প্রিগোজিন। পুতিনের ২৩ বছরের শাসন কালে নিজভূমেই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছিল প্রিগোজিন। মস্কো এই বাহিনীকে নির্বাসিত করার পর, তাকে জায়গা দিয়েছিল বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো।