ফিচার

ভারতের এই গ্রামে এখনও পুজো হয় শকুনির, কারা পুজো করে?

One and Only Shakuni Temple

The Truth of Bengal: শকুনি। শকুনি মামা। মহাভারত মহাকাব্যে যতগুলি নেতিবাচক চরিত্র রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম শকুনি। গান্ধার নরেশ এবং গান্ধারীর ভাই শকুনি। কুরুক্ষেত্রে যুদ্ধ পর্ব পর্যন্ত পুরো কাহিনীতে তাঁর উপস্থিতি রয়েছে ছত্রে ছত্রে। মহাভারত পড়লে এই চরিত্র সাধারণ মানুষের মনে এতোটাই কুপ্রভাব ফেলে, যে অনেকেই পছন্দ করেন না। কিন্তু একটা কথা জানলে হয়তো অবাক হবেন, এই চরিত্রকেই অনেকে পুজো করেন।

এমন নজিরবিহীন চিত্র দেখা যায় ভারতের কেরালার কোল্লাম জেলায়। মায়ামকোট্টু মালানচারুভু মালানাদা নামে একটি মন্দিরে রোজ পুজো করা হয় শকুনিকে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভক্তরা নারকেল ও রেশমের টুকরো দিয়ে শকুনির পুজো করেন। স্থানীয় লোকবিশ্বাস, এই মন্দিরে পুজো করা হয় একটি মুকুটকে।

মনে করা হয়, এই মুকুটটি ছিল গান্ধার রাজ শকুনির। মহাভারতের কাহিনী থেকে জানা যায়, কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ শুরুর আগে মামা শকুনি কৌরব ভাগ্নেদের নিয়ে সমগ্র ভারতবর্ষ পরিক্রমণ করেছিলেন। কেরালার কোল্লামের এই স্থানে এসে শকুনি মামা শিবের পূজা করে বিশেষ বর লাভ করেন। এরই প্রেক্ষিতে এই স্থানে শকুনির মন্দির গড়ে ওঠে।

মহাভারতের কুটিল চরিত্র শকুনি। তিনি জানতেন কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে দুর্যোধনসহ অন্যান্য কৌরব বাহিনী, পাণ্ডবদের সঙ্গে জয়ী হতে পারবেন না। দুর্যোধন যাতে পঞ্চ গ্রাম না দেয়, তার জন্য জোর করেছিল শকুনি। কারণ তিনি চেয়েছিলেন যুদ্ধ হোক। শকুনি ও তার পরিবারের প্রতি হওয়া অবিচারের প্রতিশোধ নিতেই তিনি এই কুট চাল নিয়েছিলেন। শকুনি না থাকলে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধই হত না।

আরও পড়ুন- এই দ্বীপে জ্যান্ত পোড়ানো হয়েছিল দেড় লক্ষ মানুষকে

যেমন শকুনি না থাকলে কুরুবংশ ধ্বংস হত না। শকুনি না থাকলে পাণ্ডবদের জয় হত না। ধর্মস্থপনাও হত না।  শকুনি না থাকলে ভগবত্গীতার সৃষ্টিও হত না। তাই মহাভারতের কার্য কারণ সম্বন্ধের অন্যতম সূত্রধর ছিলেন শকুনি। তাই তাঁকেও পুজো করা হয়।