সংস্কৃতি জগতে শোকের ছায়া,না ফেরার দেশে ‘লাল পাহাড়ির দেশে’র স্রষ্টা অরুণ চক্রবর্তী
Shadow of mourning in the cultural world, Arun Chakraborty, creator of 'Lal Pahari Desh', dies in the country of no return

Truth Of Bengal: হুগলির চুঁচুড়ার ফার্ম সাইড রোডের বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন প্রখ্যাত কবি ও গীতিকার অরুণ চক্রবর্তী। শুক্রবার গভীর রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, করোনার পর থেকেই তাঁর ফুসফুসে সমস্যা ছিল। তবে শারীরিকভাবে সুস্থ ছিলেন তিনি।
শুক্রবার কলকাতার মোহরকুঞ্জে একটি জঙ্গলমহল অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। সেখান থেকে কিছুটা ঠান্ডা লেগেছিল। কবির পুত্রবধূ সুদেষ্ণা চক্রবর্তী জানিয়েছেন, সেই শারীরিক অসুস্থতাই পরবর্তীতে গুরুতর আকার নেয়। শুক্রবার গভীর রাতে হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। অরুণ চক্রবর্তীর মরদেহ চুঁচুড়া রবীন্দ্র ভবনে নিয়ে যাওয়া হবে, যেখানে মুক্তমঞ্চে শায়িত থাকবে তাঁর দেহ। সেখানে তাঁর গুণগ্রাহীরা শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন। শুক্রবার দুপুরে শ্যামবাবুর ঘাটে সম্পন্ন হবে শেষকৃত্য।
বাংলার লোকসংস্কৃতির এক নিবেদিতপ্রাণ কর্মী ছিলেন অরুণ চক্রবর্তী। তাঁর লেখা ও সুর করা ‘লাল পাহাড়ির দেশে যা, রাঙা মাটির দেশে যা’ গানটি আজও বাংলা গানের জগতে এক অমলিন সম্পদ। গীতিকার ও সুরকার হিসেবে তাঁর নাম অজানা থাকলেও গানটি সকলের মুখে মুখে ফিরেছে। ঝুমুর শিল্পী সুভাষ চক্রবর্তীর সুরে এই গান অরুণ চক্রবর্তীকে এনে দিয়েছিল পরিচিতি এবং খ্যাতি।
জঙ্গল, পাহাড়, আদিবাসী এলাকার জীবন এবং প্রকৃতি নিয়ে তাঁর গভীর অনুরাগ ছিল। সেই অনুপ্রেরণা থেকেই তিনি সৃষ্টি করেছিলেন বহু কালজয়ী কবিতা ও গান। দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশেও পৌঁছে গিয়েছিল তাঁর শিল্প।
শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে পাশ করে তিনি হিন্দুস্তান মোটরে চাকরি করতেন। তবে পেশাগত জীবনের পাশাপাশি লেখালেখি এবং সুরসৃষ্টিতে ছিলেন সক্রিয়। তাঁর সৃষ্টিকর্ম আজও বাংলার লোকসংস্কৃতির অমূল্য সম্পদ হিসেবে বিবেচিত। অরুণ চক্রবর্তীর মৃত্যুতে বাংলা সংস্কৃতি জগতে এক অপূরণীয় শূন্যতা তৈরি হলো। ‘লাল পাহাড়ির দেশে’র সুরে তিনি চিরকাল অমর হয়ে থাকবেন।