৫ ঘণ্টা পর সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরোলেন ঋতুপর্ণা, তদন্তে সহযোগিতার আশ্বাস
Rituparna leaves CGO complex after 5 hours, assures cooperation in investigation

The Truth Of Bengal : দীর্ঘ পাঁচ ঘন্টা পর সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বের হলেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। বিকেল ৫ টা ৪৫ মিনিটে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বের হন ঋতুপর্ণা। ১২ টা ১৫ মিনিটে সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি। দীর্ঘ প্রায় ৫ ঘণ্টা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডি আধিকারিকরা। অভিনেত্রী জানান ইডি আধিকারিকদের সঙ্গে সহযোগিতা করেছেন তিনি। বেশকিছু নথি দিতে বলেছিলেন আধিকারিকরা। সেইসব নথিপত্র তিনি জমা দিয়েছেন। রেশন দুর্নীতি মামলায় নায়িকাকে তলব করেছিল ইডি। এদিন তদন্তে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন ঋতুপর্ণা। সূত্রের খবর, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের কতগুলি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে সেই সম্পর্কে জানতে চান ইডি আধিকারিকরা। এও জানতে চান তার সংস্থার সঙ্গে কোন কোন বিষয়ে লেনদেন হয়েছিল? আধিকারিকরা জানতে চান আপনার কাছে রেশন দুর্নীতির টাকা গিয়েছে? আপনার সংস্থার সঙ্গে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সম্পর্ক কীসের? যে টাকা আপনার অ্যাকাউন্টে গিয়েছে তা দুর্নীতির টাকা আপনি জানতেন?
রেশন দুর্নীতি মামলায় সিজিও কমপ্লেক্সে ঋতুপর্ণা নির্ধারিত সময়ে পৌঁছান। সব নথি নিয়ে সিজিও কমপ্লেক্সে আসেন ঋতুপর্ণার হিসাব রক্ষক। রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্তে গতি বাড়িয়েছে ইডি। কেন্দ্রীয় এজেন্সি একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। এখন কারাবন্দি রয়েছেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক সহ অনেকে। সেই মামলায় ৫জুন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে ডেকে পাঠায় ইডি। ইডি সূত্রে খবর, আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য খতিয়ে দেখার জন্য টালিগঞ্জের এই অভিনেত্রীকে জেরা করে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। কারণ কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে লেনদেন নিয়ে গোপন তথ্য হাতে এসেছে বলে তারা দাবি করছে। সেই মামলায় এর আগে অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত হাজিরা দিতে পারেননি তিনি।
সেসময় আমেরিকায় ছিলেন বাংলা চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী। তাই বুধবার আবারও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে ডেকে পাঠায় ইডি।তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে বলা হয়।সমস্ত নথিও তথ্য হাতে নিয়ে অভিনেত্রীকে ইডির আধিকারিকদের মুখোমুখি জেরায় বসার নির্দেশ জারি করা হয়। সেইমতো সকাল থেকেই সিজিওতে তত্পরতা শুরু হয়। তবে এবার সব নথি নিয়ে সিজিও কমপ্লেক্সে আসেন ঋতুপর্ণার হিসাব রক্ষক। উল্লেখ্য, ২০১৯সালে রোজভ্যালি মামলায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কেন্দ্রীয় সংস্থা।
মূলত রোজভ্যালির মালিক গৌতম কুণ্ডুর সঙ্গে যোগাযোগ থাকার কারণেই ঋতুপর্ণাকে জেরা করে ইডি। বেসরকারি অর্থলগ্নি সংস্থার থেকে তিনি কোনও সুবিধা পেয়েছেন কিনা তা তদন্তকারীরা জানতে চায়। আর সেই ঘটনার প্রায় ৫বছর পর আবারও ইডির কর্তাদের জেরার মুখে বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেত্রী। কিভাবে রেশন বেনিয়মের লেনদেনে তাঁর নাম উঠে আসছে মূলতঃ সেটাই জানতে চান তদন্তকারীরা। অভিনেত্রীর লেনদেনের যাবতীয় নথি এখন যে ইডির স্ক্যানারে তা বলাই যায়।