বিনোদন

অন্ধ বলে নেয়নি IIT, শুধুমাত্র মেধার জোরে আজ কয়েকশো কোটি টাকার মালিক শ্রীকান্ত ভোল্লা!

 

জন্ম থেকেই দৃষ্টিহীন শ্রীকান্ত ভোল্লা। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা তাকে কখনো দমাতে পারেনি। অন্ধত্বের কারণে তাকে আইআইটিতে ভর্তি হতে দেওয়া হয়নি। কিন্তু সেই অন্ধত্বই তাকে অনুপ্রাণিত করেছিল আরও বেশি উচ্চতায় পৌঁছাতে।

অন্ধ্রপ্রদেশের একটি প্রত্যন্ত গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন শ্রীকান্ত। তার বাবা-মা তাকে অত্যন্ত কষ্টে মানুষ করেন। অনেকেই তাকে জন্মের পরই ত্যাগ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু শ্রীকান্তের ইচ্ছাশক্তি ছিল অদম্য। তিনি বিজ্ঞান বিভাগে পড়ার জন্য আগ্রহী ছিলেন। কিন্তু কোনো কলেজে তার ভর্তি হয় না। অবশেষে তিনি নিজের চেষ্টায় একটি কলেজে ভর্তি হন।

কলেজে পড়ার সময় তিনি আরও বেশি অনুপ্রাণিত হন। তিনি সিদ্ধান্ত নেন যে তিনি বিশ্বের সেরা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করবেন। তার স্বপ্ন পূরণের জন্য তিনি কঠোর পরিশ্রম করেন। অবশেষে তিনি আমেরিকার ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে (MIT) ভর্তি হওয়ার সুযোগ পান। তিনি সেখানে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।

MIT থেকে পাস করার পর তিনি দেশে ফিরে আসেন। তিনি প্রতিবন্ধী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য কাজ করার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন যা প্রতিবন্ধী ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেয়। তিনি নিজেও একটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে তার কোম্পানিতে ১৫০ জন কর্মচারী কাজ করে।

শ্রীকান্ত ভোল্লার গল্প প্রমাণ করে যে শারীরিক প্রতিবন্ধকতা কোনো বাধা নয়। ইচ্ছাশক্তি থাকলে সবকিছুই সম্ভব। তিনি প্রতিবন্ধী ছাত্র-ছাত্রীদের অনুপ্রেরণা। তার গল্প তাদের স্বপ্ন পূরণের জন্য অনুপ্রাণিত করে।

*শ্রীকান্ত ভোল্লার সাফল্যের রহস্য*

শ্রীকান্ত ভোল্লার সাফল্যের পেছনে রয়েছে তার অদম্য ইচ্ছাশক্তি। তিনি কখনোই তার শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে পরাজিত হতে দেননি। তিনি সবসময় তার লক্ষ্যে অবিচল ছিলেন। তিনি কঠোর পরিশ্রম করেছেন এবং নিজের প্রতি বিশ্বাস রেখেছেন।

শ্রীকান্ত ভোল্লার সাফল্যের আরেকটি কারণ হল তার শিক্ষা। তিনি একটি ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেছেন। শিক্ষা তাকে তার জীবনের লক্ষ্য অর্জনে সাহায্য করেছে।

শ্রীকান্ত ভোল্লার গল্প আমাদের শিক্ষা দেয় যে, শারীরিক প্রতিবন্ধকতা কোনো বাধা নয়। ইচ্ছাশক্তি থাকলে সবকিছুই সম্ভব।

Related Articles