“বাজপাখি সেলিম” একযোগে কংগ্রেস-সিপিএমকে কটাক্ষ তৃণমূল সু্প্রিমোর

Truth Of Bengal: তৃণমূল কখনও সিপিএমের সঙ্গে সমঝোতা করেনি। সিপিএমের হাত ধরায় একসময় তৃণমূল কংগ্রেস তৈরি করতে হয়েছিল।এখন সেই সিপিএম বিজেপির সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ছে।মুর্শিদাবাদের জোড়া সভা থেকে বিরোধীদের এই রাজনৈতিক শঠতার প্রসঙ্গে তুলে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।প্রশ্ন তোলেন,সেই কারণেই কী বিজেপি সিপিএমের কোনও নেতাকে ধরছে না। ২৬হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের কথা তুলে ধরে মমতার তোপ,   যারা মানুষকে কাঁদিয়ে হাসে,তাঁদের একটাও ভোট দেবেন না।

৭মে তৃতীয় দফার নির্বাচন।মালদার মতোই মুর্শিদাবাদের ২টি আসনে ভোট হবে।লোকসভার মতোই ভগবানগোলা বিধানসভার উপ-নির্বাচন হবে। তাই লোকসভার মতোই বিধানসভার উপ-নির্বাচনেও মুর্শিদাবাদের মানুষকে জোড়াফুলের প্রার্থীদের সমর্থন করার আহ্বান জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  তথ্য বলছে,  ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ও বিজেপিকে অনেকটাই পিছনে ফেলে দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস।আবু তাহের খান জয়ী হন ৬লক্ষ ৪হাজারের বেশি ভোটে।এবার এই কেন্দ্রে পদ্মের প্রতীকে লড়তে নেমেছেন বিজেপির গৌরীশঙ্কর ঘোষ,সিপিএমের হয়ে লড়ছেন মহম্মদ সেলিম।দুই দলের বোঝাপড়াকে একযোগে আক্রমণ শানান তিনি।বোঝান, মানুষ কাঁদছে আর বিজেপি সহ বিরোধীরা  হাসছে।ভাজপা ওয়াশিং মেশিনে   দুর্নীতিবাজদের স্বচ্ছ করা হচ্ছে।   বেনিয়মের ভুরিভুরি অভিযোগ তুলে বিরোধী শিবিরকে শাণিত ভাষায় আক্রমণ শানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।কেন বিজেপি সিপিএমের দুর্নীতি নিয়ে একটি কথাও বলে না সেই প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

মুর্শিদাবাদের জোড়া সভাতে কংগ্রেস-সিপিএমকে কটাক্ষ করেন তৃণমূল সু্প্রিমো। একসময় গোপন বোঝাপড়ার  জন্যই তিনি যে তৃণমল কংগ্রেস গড়েন তাও জানিয়ে দেন বিজেপি বিরোধী শিবিরের সর্বোময় নেত্রী। সেখান থেকেই সিপিএম-কংগ্রেসের ‘ভোট কাটাকাটির পরিকল্পনা’ নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করলেন। তাঁর কথায়, ”কোথা থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসেছে, বাজপাখি সেলিম। উনি জিততে পারবেন না। বিজেপির পরিকল্পনায় এরা কোথাও সিপিএম, কোথাও কংগ্রেস প্রার্থী দিয়েছে।  দেশ বাঁচাতে বিকল্প সরকার সিপিএম-কংগ্রেস গড়তে পারবে না,তৃণমূলেই পারবে।

দেশের ধর্মনিরপেক্ষতা,একতা রক্ষায় তৃণমূলই দিল্লিতে নতুন সরকার গড়বে।সেই সরকার বাংলার দাবিপূরণে কাজ করবে।সিএএ-এনআরসি থেকে অভিন্ন দেওয়ানী বিধি সব বিতর্কিত আইন বাতিল করে প্রকৃত জনগণের বন্ধু সরকার গড়ার রূপরেখা তুলে ধরেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।