Lok Sabha Election 2024 : প্রচারে বেরিয়ে দিলীপ ঘোষকে পাগল বলে সম্বোধন কীর্তি আজাদের
Lok Sabha Election 2024 : Keerthi Azad called Dilip Ghosh crazy in the campaign

The Truth Of Bengal : উজ্জ্বল দাশগুপ্ত, পশ্চিম বর্ধমান, দুর্গাপুর: লোকসভা নির্বাচন আসন্ন। এমতাবস্থায় নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত সমস্ত রাজনৈতিক দল। শেষ মুহূর্তের নির্বাচনী প্রচারে এক মুহূর্তও নষ্ট করতে নারাজ রাজনৈতিক নেতারা। সোমবার বর্ধমান- দুর্গাপুরের লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদ ২৫ ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচার করলেন। এদিন তিনি দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের সামনে বজরংবলীর মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করেন। প্রার্থীর সাথে ছিলেন রাজ্যের গ্রাম উন্নয়ণ ও পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, দুর্গাপুর পুরসভার প্রশাসক মন্ডলী সদস্য দীপঙ্কর লাহা সহ তৃণমূলের কর্মীবৃন্দরা।
প্রচারে বেরিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে কীর্তি আজাদ জানান, “হনুমান বা বজরঙবলীর চেয়ে সনাতন ধর্মে বড় সেবক আর কেও নেই। মা সীতার কাছে রামচন্দ্রের সিঁদুরের লাল রঙ পছন্দ শুনে নিজে সারা গায়ে লাল সিদুঁর মেখে রামের রাজসভায় হাজির হয়েছিলেন। সেই মহান সেবক ও সঙ্কটমোচনের কাছে পুজো দিয়ে এদিনের প্রচার শুরু করেছেন।”
পাশাপাশি বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের প্রচারে ত্রিশূল নিয়ে ঘুরে বেড়ানো প্রসঙ্গে কটাক্ষ করতে গিয়ে বলেন, “দিলীপ ঘোষ পাগোল হয়ে গেছেন। তাই কখনো লাঠি নিয়ে কুকুর তাড়ানো বা কখনো ত্রিশূল হাতে ঘুরে বেড়ানো শুরু হয়েছে।” পাশাপাশি তিনি বলেন, “বিহারীকে লাঠিপেটা করে তাড়াবো। আসলে মেদিনীপুরে সাংসদ থেকে এলাকার জন্যে কোনো কাজ করেননি। তাই তাকে কেন্দ্র বদল করে দুর্গাপুর বর্ধমান কেন্দ্রে আসতে হয়েছে। অন্যদিকে দুর্গাপুরের সাংসদ এস এস আলুওয়ালিয়া তার এলাকায় প্রকৃত কাজ করেননি বলেই তাকে আসানসোলে পাঠানো হয়েছে। সেখানে পৌঁছে সাংবাদিক সম্মেলন করে তার কাজের রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ করেছেন। অথচ ডিএসপি ডিভিসির মত কেন্দ্রীয় সংস্থা যারা গড়ে তুলেছে তাদের ওপর নানান অত্যাচারের ( পানীয় জল সরবরাহ, বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ করে) মাধ্যমে তাদের উচ্ছেদের পরিকল্পনা চলছে। অথচ আলুওয়ালিয়া জানিয়ে ছিলেন বুলডোজার চল্লে সবার আগে তিনি এসে দাঁড়াবেন। এখন তিনি পালিয়ে বাঁচলেন।”
তবে এদিন প্রচার অভিযানে কীর্তি আজাদ সনাতন ধর্ম সম্পর্কের আলোচনায় বিজেপি নেতৃত্ব ও দিলীপ ঘোষকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করে বসেন। তিনি বলেন, “তাদের যদি সত্যি সাহস থাকে তাহলে সনাতন ধর্ম নিয়ে যেকোনো সময় তারা কীর্তি আজাদের সাথে আলোচনায় বসতে পারেন। কে প্রকৃত সনাতনধর্মী সেখানেই প্রমান হবে।”