মসনদের লড়াই

CPIM : বামেদের ৩০ জন প্রার্থীর মধ্যে জামানত খুইয়েছেন ২৮ জন প্রার্থীই, যে দু’জনের জামানত রক্ষা পেল

CPIM: Out of 30 Left candidates, 28 candidates secured bail, two secured bail

The Truth Of Bengal :  লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়ে নির্বাচনী ময়দানে নেমেছিল বামেরা। রাজ্যের ৪২ টি আসনের মধ্যে ৩০ টি আসনে প্রার্থী ছিল তাদের। আর এই ৩০ জন প্রার্থীর মধ্যে ২৮ জনেরই জামানত জব্দ হয়েছে এবারের ভোটে। এর রাজ্যের বামপন্থী কর্মী সমর্থকদের প্রত্যাশা ছিল অন্যরকম। তারা আশা করেছিলেন ‘শূন্য’ থেকে ঘুরে দাঁড়াবেন এবারের ভোটে। অন্তত আর ‘শূন্য’ নিয়ে অসম্মানে পড়তে হবে না তাদের। নির্বাচন ঘোষণার পর থেকেই বাম নেতাকর্মীদের মধ্যে ছিল জোর তৎপরতা। পুরনো ধারণা ঝেড়ে ফেলে প্রার্থী বাছাইয়ের মধ্যেও ছিল আধুনিকতার ছাপ। দলের পরিচিত তরুণ মুখেদের গুরুত্ব বাড়ানো হয়। আবার মহম্মদ সেলিম, সুজন চক্রবর্তী, এস এম সাদি, অলকেশ দাসদের মতো পুরনো নেতাদেরও প্রার্থী করা হয় এবারের ভোটে। না, তবুও হাল ফিরল না লালের। বাংলার মানুষ বামেদের দিক থেকে যে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল সেই মুখ ফেরানোই বজায় রইল। ভোট প্রাপ্তির হারে বামেদের রক্তক্ষরণ অব্যাহত রইল। সৃজন, সায়ন, দীপ্ষিতারা জামানত বাঁচাতে পারেনি এবারের ভোটে। ঝকঝকে তরুণ মুখেদের সামনে এনে বামেদের হাল ফেরানোর চেষ্টা ব্যর্থ হল একপ্রকার। শুধুমাত্র জামানত বাঁচাতে পেরেছেন দলের দুই ‘বুড়ো’ নেতা। একজন দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম এবং অন্যজন সুজন চক্রবর্তী। মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রে জামানত রক্ষা হয়েছে সেলিমের। একমাত্র এই আসনে বামেরা দ্বিতীয় স্থান দখল করেছে। সুজন চক্রবর্তীর দমদম কেন্দ্রে জামানত বাঁচালেও তৃতীয় স্থানে লড়াই শেষ করতে হয়েছে।

প্রদত্ত ভোটের একের ছয় ভাগ বা ১৬.৬৬ শতাংশ পেলে সেই প্রার্থী জামানত রক্ষা করতে পারেন। এই জামানত বাঁচানোর লক্ষ্যেও সফল হল না বামেরা। মোট ৩০ জন প্রার্থীর মধ্যে ২৮ জনই ফেল করে গিয়েছেন। যারা জামানত বাঁচাতে পারেননি তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য তমলুকে সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়, ব্যারাকপুরের দেবদূত ঘোষ, কলকাতা দক্ষিণে সায়রা হালিম, ডায়মন্ড হারবারের প্রতীক উর রহমান উল্লেখযোগ্য। যাদবপুরে সৃজন ভট্টাচার্য ও শ্রীরামপুরে দীপ্সিতা ধরেরও জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তবে এই দুই প্রার্থী আর সামান্য ভোট পেলেই জামানত বাঁচাতে পারতেন। ০.১৪ শতাংশ ভোট পেলেই জামানত রক্ষা পেত সৃজন এর। অন্যদিকে দীপ্সিতা আর মাত্র ০.৪৬ শতাংশ ভোট সংগ্রহ করতে পারলেই জামানাথ বাঁচাতে পারতেন। খুব কাছাকাছি গিয়ে থামতে হয়েছে তাদের।

বামফ্রন্টের এই ৩০ জন প্রার্থীর মধ্যে সিপিএমের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন ২৩ জন। ফরওয়ার্ড ব্লক ও সিপিআই এর হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছিলেন দুজন করে প্রার্থী। আরএসপি প্রার্থী ছিল তিনজন।

মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রে মহম্মদ সেলিম ৫ লক্ষ ১৮ হাজার ২২৭ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থান দখল করেন। তাঁর ভোট শতাংশ ৩৩.৬২। অন্যদিকে দমদম লোকসভা কেন্দ্রে সুজন চক্রবর্তী ১৯.১১% ভোট পেয়েছেন। তবে বামেদের এই ভোটের মধ্যে রয়েছে কংগ্রেসের ভোটও।

Related Articles