The Truth of Bengal: জাতীয় শিক্ষা নীতি হলো রাষ্ট্রীয় স্তরে শিক্ষা ব্যবস্থার বিকাশ সাধন ও মানোন্নয়নের একটি পরিকাঠামো তৈরি করার নীতি। এই নীতিকে সম্পূর্ণ মান্যতা দিলো না বাংলার সরকার। নিজেদের শিক্ষানীতি তেই থাকেতে চায় রাজ্য।তাই ৯ই সেপ্টেম্বর থেকে গ্যাজেট নোটিফিকেশন করে রাজ্য শিক্ষা নীতি লাগু করেছে শিক্ষা দফতরে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু আগেই জানিয়েছিলেন, জাতীয় শিক্ষানীতি থেকে ‘বেস্ট প্র্যাকটিসেস’ বেছে নিয়ে তৈরি হয়েছে এই রাজ্য শিক্ষানীতি।
কোন কোন বিষয়ে এই শিক্ষানীতি লাগু থাকছে?
এক বছরের প্রি-প্রাইমারি ক্লাস এবং চার বছরের প্রাথমিকের ক্লাসের কথা বলা হয়েছে। এরপর পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি এবং নবম-দশম শ্রেণি শেষে মাধ্যমিক পরীক্ষা। তারপর একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শেষে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা হবে সেমেস্টার পদ্ধতি এবং এমসিকিউ ধাঁচে। প্রত্যেক পড়ুয়ার তিন বছর বয়স থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত অ্যাকাডেমিক রেকর্ড জমা থাকবে ক্লাউডে।
এবার থেকে শুরু হবে প্রত্যেক স্কুলে ‘গ্র্যাজুয়েশন সেরিমনি’। উচ্চমাধ্যমিক শেষে স্কুলের গন্ডি পেরনোর পরই শুরু হয় কলেজ জীবন। সেক্ষেত্রে পড়ুয়াদের সুবিধার্ধে স্কুলগুলির সঙ্গে বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ ও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সমন্বয় তৈরির কথাও বলা হয়েছে। এছাড়াও একই ক্যাম্পাসে যাতে নার্সিং ও প্যারামেডিক্যাল কোর্স করানো যায় তার দিকে নজর থাকবে। এর পাশাপাশি আইনের পাঠের জন্য বিশেষ কোর্স চালু করার কথাও বলা হয়েছে। ভিন রাজ্যের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যাতে রাজ্যে আসে, সেদিকেও নজর দেওয়া হয়েছে। পড়ুয়া ও শিক্ষকের অনুপাতে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তার দিকেও নজর দেওয়া হবে। শিক্ষার্থীদের সুবিধার্ধে শিক্ষকদের প্রয়োজনে গ্রামে বদলি করা হবে। পড়ুয়াদের জন্য নিয়মিত কাউন্সেলিং-এর ব্যবস্থার কথাও বলা হয়েছে রাজ্যের শিক্ষানীতিতে।গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে মাতৃভাষা ও আঞ্চলিক ভাষাকে। প্রথম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সব মাধ্যমের পড়ুয়াদের জন্য বাংলা বিষয় পড়ার সুযোগের কথাও বলা হয়েছে।
