
The Truth of Bengal: পশ্চিমবঙ্গে রাজ্যপাল হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার পর থেকে বেশ মধুর সম্পর্ক দেখা গিয়েছিল, নবান্ন ও রাজভবনের মধ্যে। কিন্তু সময় যত গড়িয়েছে, ধীরে ধীরে মধুর সম্পর্ক পরিণত হয়েছে অম্ল-মধুর সম্পর্কে। তারও পরে কার্যত কড়া অম্লের রূপ নিয়েছে। শুক্রবার ভোরেই রাজভবনের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, বর্তমানে, রাজ্যে যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নেই, সেই উচ্চতর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তিনি ভাইস চান্সিলর হিসেবে কাজ চালাবেন রাজ্যপাল। সূত্রের খবর, পড়ুয়াদের যাতে অসুবধার মধ্যে পড়তে না হয়, তার জন্যই এই পদক্ষেপ। কারণ হিসেবে জানা গিয়েছে, বেশ বিশ্ববিদ্যালয় ও তার অধীনস্থ কলেজগুলিতে পরীক্ষার পরেও সময়মতো পড়ুয়ারা সার্টিফিকেট পাচ্ছেন না।
এ ছাড়াও শিক্ষাসংক্রান্ত নানা সমস্যা ও জটিলতা দেখা দিচ্ছে। সেই সমস্যা সমাধানেই এমন একটা নজিরবিহীন পদক্ষেপ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, প্রশাসনিক ক্ষমতার জেরে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসই রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদে আসীন। সম্প্রতি একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষ দফতরের অনুমোদন ও পরামর্শ ছাড়াই উপাচার্য নিয়োগ করেছেন। তা নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে সম্পর্কে ক্রমশ ফাটল ধরেছে। রাজ্যপালের একতরফা সিদ্ধান্তে খুশি নয়, শিক্ষদফতর।
রাজ্যপালের একরোখা সিদ্ধান্তের বিরোধিতায়, একাধিকবার তোপ দাগতে দেখা গিয়েছে শিক্ষমন্ত্রী ব্রাত্য় বসুকেও। সুর চড়াতে দেখা গিয়েছিল, ওমপ্রকাশ মিশ্র, গৌতম পালের মতো শিক্ষাবিদদেরও। তারপরেও পিছপা হতে দেখা যায়নি রাজ্যপালকে। বরং তিনি প্রথা ভেঙে একের পর এক অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করেছেন। তা নিয়েও বিতর্ক কম দানা বাঁধেনি। অভিযোগ উঠেছে, যআঁদের শিক্ষকতা নিয়ে কোনও অভিজ্ঞতা নেই, তিনি তাঁদেরও উপাচার্য পদে নিয়োগ করেছেন। উপাচার্য নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলা এখনও বিচারাধীন সুপ্রিম কোর্টে। তারই মাঝে, রাজ্যপালের এমন সিদ্ধান্তে নতুন করে শোরগোল পড়েছে শিক্ষামহলে।