গ্রামীণ শিক্ষা ব্যবস্থায় নতুন আলো দেখাচ্ছেন প্রাণতোষ, পেলেন শিক্ষারত্ন সম্মান
Shiksha Ratna Award

The Truth of Bengal: গত কয়েক বছরে উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু অঞ্চলে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগলেও, এখনও কিছু অঞ্চল পিছিয়ে রয়েছে। আলিপুরদুয়ারর শালকুমার এলাকায় মৌলিক পরিকাঠামো প্রায় নেই বললেই চলে। নেই ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থা, এলাকার আর্থিক উন্নয়নও সেভাবে হয়নি। অধিকাংশ দরিদ্র মানুষের বাস। পারিবারিক আর্থিক অনটনের জেরে বহু পড়ুয়াই মাঝপথে স্কুল ছাড়তে বাধ্য হয়। পরিবারের পেটের টানে, যোগ দিতে হয় কাজে। আর এই পাহাড় সমান সমস্যার বিরুদ্ধেই লড়াই চালাচ্ছেন, লাল্টুরাম হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রাণতোষ পাল। তিনি এবার শিক্ষারত্ন সম্মান পাওয়ায় খুশি এলাকার বহু মানুষ।
প্রাণতোষ পালের এই সম্মান প্রাপ্তিতে শুভেচ্ছাবার্তা ও অভিনন্দন জানিয়েছে, এলাকার অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষিকারাও। সকলেরই এক মত, ওনার এই সাফল্যে তাঁরাও গর্বিত। প্রাণতোষ পালের নাম শিক্ষারত্ন সম্মানে বিবেচিত হয়েছে, এটা তাঁদের সকলের কাছে গর্বের। তাই তাঁরাও এদিন প্রিয় শিক্ষককে সংবর্ধনা জানান। শিক্ষারত্ন পেয়ে খুশি প্রাণতোষ পাল। তিনি জানান, তাঁর কাজের জন্য সরকার তাঁকে এই সম্মান দেওয়ার জন্য যোগ্য মনে করছে সরকার। এটা জেনেই তাঁর বেশ ভাল লাগছে।
২০০৩ সাল থেকে শালকুমারের লাল্টুরাম হাইস্কুলে কাজ করছেন প্রাণতোষ পাল। তার আগে তিনি শিক্ষকতা করতে টোটোপাড়ার একটি স্কুলে। সেখানেও তাঁকে নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যে লড়াই চালাতে হয়েছে। শিক্ষার আলো প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে দিতে, নিরলস পরিশ্রম করতে হয়েছে। তিনি জানান, লড়াই একমাত্র তাঁর অনুপ্রেরণা। এলাকার অবস্থা খুব ভাল নয়। দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই করে সবসময় মানুষকে বেঁচে থাকতে হয়। গ্রামকে ভালবেসেই তিনি এই গ্রামে এসেছেন। আগামী দিনেও তিনি গ্রামীণ এলাকাতেই কাজ করে যাবেন। তাঁর স্বপ্ন, তিনি গ্রামীণ শিক্ষাব্যবস্থাকে আরও ভাল করতে চান। এই সম্মান তাঁকে বাড়তি শক্তি জোগাবে, এবং ভালো কাজ করতে উৎসাহ দেবে বলে মত প্রাণতোষ পালের।