
Truth Of Bengal: আবার সফল কলকাতা পুলিশ। কসবায় কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে খুনের চেষ্টার ঘটনায় ফেরার থাকা অভিযুক্ত রেহাই পেল না। তাকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ। আদিল হোসেন নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করে ঘটনার প্রায় কিনারা করে ফেলল কলকাতা পুলিশ। এই ঘটনার পরিকল্পনা করে ঘটনার আগেই আবুধাবিতে পালিয়ে আত্মগোপন করেছিল সে। রবিবার কলকাতা বিমানবন্দরে নামতেই অভিবাসন বিভাগ আটক করে তাকে। এরপর তাকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। বিদেশে গা ঢাকা দিয়েও শেষরক্ষা হল না। ঘটনার পর তদন্ত শুরু হতেই প্রকাশ্যে আসে আদিল হোসেনের নাম। পুলিশ জানতে পারে, এই খুনের চেষ্টার নেপথ্যে বিহারের বাসিন্দা আদিল হোসেন। তবে পরিকল্পনা করেই আবু ধাবি উড়ে গিয়েছিল সে। কিন্তু তাকে ধরার জন্য সক্রিয় থাকে কলকাতা পুলিশ।
আদিলকে জেরা করে এই ঘটনার রহস্যভেদ হবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। তদন্ত চলাকালীন প্রকাশ্যে আসে আদিল হোসেনের নাম। পুলিশ জানতে পারে, এই খুনের চেষ্টার নেপথ্যে আছে বিহারের বাসিন্দা আদিল হোসেন। তবে অপারেশনের পরিকল্পনা করেই আবুধাবি উড়ে গিয়েছিল সে। সেখানেই এতদিন সেখানে লুকিয়ে ছিল। ঘটনার পর জানা যায়, এই ঘটনার পেছনে আছে জমি সংক্রান্ত বিষয়। কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে হত্যা করার জন্য বিরাট পরিকল্পনা করা হয়। বিহার থেকে ভাড়াটে খুনি আনা হয়। রাজ্যে সাম্প্রতিক কালে একাধিক এমন ঘটনায় দেখা গিয়েছে বিহারের যোগ। সেখানে থেকে অস্ত্র ও ভাড়াটে খুনি এনে তৃণমূল নেতাদের নিশানা করা হচ্ছে। সদ্য মালদায় তৃণমূল নেতা বাবলা সরকারের হত্যাকাণ্ডেও সেটাই দেখা গিয়েছে।
এই ধরনের ঘটনার পেছনে বারবার বিহারের যোগ নিয়ে সরব হয়েছে তৃণমূল দলের রাজ্য সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার. সরাসরি বিজেপির দিকে নিশানা করে জানিয়েছেন, রাজ্যকে অশান্ত করার জন্য বিজেপি পরিকল্পনা করে এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে। বিহারের দুষ্কৃতীদের দ্বারা সংঘটিত এই ঘটনা আটকাতে হলে পুলিশকে আরও কড়া হতে হবে। প্রশাসনের শীর্ষস্তর থেকে ইতিমধ্যে পুলিশকে সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ঘটনায় পুলিশ যে ভাবে দ্রুত অপরাধীদের গ্রেফতার করেছে তাতে বলাই যায় এই ধরনের ঘটনা একেবারেই বরদাস্ত করবে না প্রশাসন।