অশান্তির আশঙ্কা উড়িয়ে ঐতিহ্যের সম্প্রীতি
Traditional harmony, eliminating the fear of unrest

Truth Of Bengal: অশান্তির আশঙ্কা একটা ছিল। তাই নেওয়া হয়েছিল নানা সতর্কতা। তবে যে আশঙ্কা করা হয়েছিলো তা অমূলক বলে প্রমাণিত হল। রামনবমীর শোভাযাত্রায় দিকে দিকে সম্প্রীতির ছবি। রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণ— নানা জায়গায় উঠে এল সেই সম্প্রীতির ছবি। মালদায় শোভাযাত্রায় হাঁটতে থাকা মানুষজনকে মিষ্টি ও জল দিতে দেখা গেল মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজনকে।
অন্য অনেক জায়গার মতো এই মালদাতে আশঙ্কা করা হয়েছিল অশান্তির। তবে সেই আশঙ্কা উড়িয়ে এখানে ধরা পড়ল এমন সম্প্রীতি। শুধু মালদা নয়, রাজ্যের অনেক জায়গায় এই ছবি উঠে এসেছে। তবে সব জায়গায় পুলিশি আয়োজন ছিল চোখে পড়ার মতো। নিরাপত্তার কড়া চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছিল। মোতায়েন ছিল বিরাট পুলিশ বাহিনী।
বলা যায়, সর্বত্র শান্তিতেই হয়েছে রামনবমীর শোভাযাত্রা। রাজ্যের দশটি জেলা ও পুলিশ কমিশনারেটকে সংবেদনশীল বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। আসানসোল, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা-সহ জেলা ও জেলার কমিশনারেটগুলিকে সতর্ক করা হয়। ওই দশটি জেলা ও পুলিশ কমিশনারেটে ২৯ জন আইপিএসকে পাঠানো হয় নিরাপত্তার জন্য।
রামনবমীর মিছিলে শহরের রাজপথে অস্ত্র হাতে হাঁটলে পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে বলে আগেই জানিয়ে দেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা। তিনি জানান, হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে মিছিল করতে হবে। হেস্টিংস, এন্টালি, কাশীপুর-সহ যে পাঁচ-ছয়টি জায়গায় বড় মিছিল হয়, সেখানে পদস্থ আধিকারিকেরা ছিলেন। ছিল টহলদারির ব্যবস্থা।
সব জায়গায় মিছিলের সঙ্গে সঙ্গে ছিলেন পুলিশকর্মীরা। সব জায়গায় সতর্ক ছিল পুলিশ-প্রশাসন। বিভিন্ন জায়গায় চলে ড্রোন দিয়ে নজরদারি। দুই একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা বাদ দিয়ে সব মিলিয়ে শান্তিতেই রাজ্যে পালিত হল রামনবমী। আর শান্তি বজায় রাখার জন্য পুলশী যে ভাবে পথে নেমে সতর্ক ছিল, তাতে ধন্যবাদ প্রাপ্য পুলিশের। পুলিশের এমন আয়োজনের জন্য কোথাও বড় কোনও অঘটন ঘটেনি। সেই সঙ্গে এই বাংলা বুঝিয়ে দিল এখানে সম্প্রীতিই শেষ কথা। বরাবরের ঐতিহ্য মেনে সেই সম্প্রীতির নানা ছবি উঠে এল রামনবমীর শোভাযাত্রায়।