সম্পাদকীয়

নিজের ভাল বুঝতে পারছে এলাকার মানুষ

The people of the area understand their own well-being

Truth Of Bengal: প্রথমে কিছু মানুষ বুঝতে পারেনি যে কী হতে চলেছে দেউচা-পাচামিতে। সেখানে মাটির নীচে কত সম্পদ জমা হয়ে আছে। এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লা খনি আবিষ্কার হওয়ার পর এই প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন করতে উদ্যোগ নেয় প্রশাসন। এলাকার মানুষ মনে করতে থাকে, খনি প্রকল্পে জমি দিতে তাঁদের সব হারাতে হতে পারে। এমন মানুষজনকে ভুল বোঝানো শুরু হয় কোনও কোনও মহল থেকে। তবে প্রশাসন তাঁদের পাশে থেকে বোঝায় এই প্রকল্পে জমি দিলে কেউ বঞ্চিত হবেন না। মিলবে উপযুক্ত মূল্য ও চাকরি।

এখনও পর্যন্ত এমন দেড় হাজার জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছে সরকারের তরফে। প্রশাসনের এই কর্মযজ্ঞে এবার বাকি জমিদাতারা এগিয়ে আসছেন জমি দিতে। সব বাঁধা কাটিয়ে ইতিমধ্যে জোর কদমে কাজ শুরু হয়েছে ডেউচা পাঁচামি প্রস্তাবিত কয়লা শিল্প এলাকায়। শিল্পের জন্য খনন হয়েছে একাধিক জায়গায়। মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প দেওচা পাচামি কয়লা শিল্প। এখনও এই প্রকল্পে প্রায় দেড় হাজার জনকে চাকরি প্রদান করা হয়েছে চতুর্থ শ্রেণি পদে এবং জুনিয়র কনস্টেবল পদে। এখানে জমি দিলে কেউ বঞ্চিত হনে না। প্রকল্পের কাজ দ্রুত শুরু করার জন্য প্রশাসনের তরফ থেকে বারবার এই কথা বলা হয়। তবে এটা শুধু কথার কথা নয়, বাস্তবে সেটা করে দেখাচ্ছে প্রশাসন। তাই এখন ওই এলাকার মানুষ স্বেচ্ছায় জমি দেওয়ার ভিড় জমাচ্ছেন।

এদিনও অনেকে স্বেচ্ছায় তাদের জমি দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। এখন মহম্মদবাজার ব্লকের ডেউচা-পাঁচামি চাঁদা মৌজায় প্রথম ধাপের কাজ শুরু হয়েছে। এই কয়লা শিল্পের জন্য প্রথমে যারা বিরোধিতা করেছেন তারাও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে এগিয়ে এসেছেন। কয়লা শিল্প কাজ যাতে দ্রুত গতিতে এগোয় তার জন্য সহযোগিতা করছেন হাসিমুখে। গত ৫ ফেব্রুয়ারি বুধবার বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করে বলেছিলেন, ‘দেউচা পাচামিতে আগামী কাল থেকেই কয়লা উত্তোলন শুরু হবে। এখানে যা কয়লা রয়েছে, তাতে আগামী ১০০ বছর বিদ্যুতের খামতি থাকবে না রাজ্যে। এখানে লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থান হবে।’ এই প্রকল্পের কাজ সুম্পুরন শুরু হলে বদলে যাবে রাজ্যের অর্থনৈতিক মানচিত্র।