ব্যবসা

দামেই ছ্যাঁকা লাগবে, খাবেন নাকি এসব ফল ?

The price will be reduced, will you eat these fruits?

The Truth Of Bengal : 

১) মিয়াজাকি আম: ফল খেতে আমরা সবাই কমবেশি ভালোবাসি। জানেন কি এই বিশ্বে এমন কিছু ফল আছে যার দাম পকেটে আগুন লাগাতে যথেষ্ট।যেমন,বিশ্বের সবচেয়ে দামি আম বলে পরিচিত এই মিয়াজাকি আম। এটি জাপানের অন্যতম প্রধান ফল। এই মিয়াজাকি আমের আরেক নাম “Taiyo no Tamago” বা “Egg of the Sun”। দক্ষিণ জাপানের কিউশু প্রদেশের মিয়াজাকি শহরে চাষ হয় এই মিয়াজাকি আমের। রুবি রেড রঙের এই আম চাষ করতে প্রচুর যত্ন, পর্যাপ্ত সূর্যের আলো, বৃষ্টি আর সাব ট্রপিকাল আবহাওয়া লাগে। জালের মধ্যে প্রত্যেক মিয়াজাকি আম রাখা হয়। জাপানেই এই আমের দাম কেজিপ্রতি ২.৭ লাখ টাকা।

২) ডেনসুকে তরমুজ: ডেনসুকে তরমুজ হল বিশ্বের সেরা স্বাদের তরমুজের অন্যতম। জাপানের হোক্কাইডো দ্বীপে চাষ করা হয় এই প্রজাতির তরমুজের। ঘন সবুজ রঙের হয় এই ডেনসুকে তরমুজ। ফলের গা হয় খুব চকচকে। কোনো রকম দাগ থাকে না। ভেতরের অংশ গোলাপি রঙের হয়। অল্প দানা হয়।

৩) ইয়ুবারি কিং মেলন: আরেক দামি ফল ইয়ুবারি কিং মেলনের চাষও হয় জাপানে। নিলামে এক জোড়া এই ইয়ুবারি কিং মেলনের দাম দাঁড়ায় ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। জাপানের ইয়ুবারি অঞ্চলে চাষ হয় এই মেলনের। সাধারণ মাঠে নয় গ্রিনহাউজে আগ্নেয়গিরির ছাইতে চাষ করা হয় ইয়ুবারি কিং মেলনের। খোলা বাজারে এই ফলের দাম একেক পিস ৫০-৭০ হাজার টাকা।

৪) কিউবড মেলন: লুডোর ঘুঁটির মতো চৌকো আকারের কিউবড মেলন বিশ্বের অন্যতম দামি ফল। আকার আর ওজন অনুযায়ী এই ফলের দাম নির্ধারণ করা হয়। একেকটা ফলের দাম ৮০ হাজার থেকে ২ লাখ টাকা।

৫) রুবি রোমান গ্রেপ: বিশ্বের সবচেয়ে দামি আঙুর বলে পরিচিত রুবি রোমান গ্রেপ। এই ফলেরও চাষ হয় জাপানে। সাধারণ আঙুরের চেয়ে ৪ গুণ বেশি বড়ো আকারের হয় এই আঙুর। গোলাকার লাল রঙের হয় এই আঙুর। ১৯৯৫ সালে জাপানের ইশিকাওয়া প্রদেশের একদল কৃষক প্রথম বার এই প্রজাতির আঙুরের চাষ শুরু করেন।

৬) সেকাইন ইচি আপেল: বিশ্বের সবচেয়ে দামি আপেল বলে পরিচিত সেকাইন ইচি আপেল। এই প্রজাতির আপেলের চাষ হয় জাপানে। একেক পিসের দাম ১৫০০-১৬০০ টাকা। ১৯৭৩ সালে প্রথম বার এই আপেলের চাষ শুরু হয়।

৭) সেমবিয়িকা চেরি: এটি বিশ্বের অন্যতম লাক্সারি দামি ফল। একেক পিসের দাম হতে পারে ৪ মার্কিন ডলার পর্যন্ত।

৮) বুদ্ধদেবের মূর্তির আকারের নাশপাতি পাওয়া যায় চিনে। বিরল প্রজাতির এই নাশপাতির নাম হল Buddha shaped pears। জিয়ানঝাং নামে চিনের এক কৃষক নিজের বাড়ির পেছনের অল্প জমিতে এই ছোট্ট বুদ্ধদেবের মূর্তির আকারের নাশপাতি চাষ শুরু করেন। নির্দিষ্ট আকার পেতে মোল্ড বা ছাঁচের ব্যবহার করা হয় নাশপাতি চাষে।

৯) ডেকোপন সাইট্রাস: কমলালেবু আর মান্দারিনের সংমিশ্রণে এই ফলের জন্ম। এটি বিশ্বের সবচেয়ে দামি কমলালেবু বলে পরিচিত। এর চাষ হয় জাপানে। ১৯৭২ সালে জাপানে প্রথম চাষ শুরু হয় ডেকোপন সাইট্রাস ফলের। নির্দিষ্ট আর্দ্রতা ও তাপমাত্রায় গ্লাস হাউজে চাষ হয় এই ফলের। জাপানের পাশাপাশি এখন ব্রাজিল ও দক্ষিণ কোরিয়াতেও চাষ হয় এই ফলের।

Related Articles