ব্যবসা

বাজার চাঙ্গা হওয়ার সম্ভাবনাঃ ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি ৭ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়াবে ৭.২শতাংশ,পূর্বাভাস ফিচ রেটিং সংস্থা

India's financial growth will rise to 7.2 percent from 7 percent, forecast Fitch Ratings

The Truth of Bengal: শেয়ার বাজার অনিশ্চিত অবস্থার মধ্যে যাচ্ছে।কখনও সেনসেক্স-নিফটি উর্ধ্বগামী  হচ্ছে কখনও আবার তাতে পতন লক্ষ্য করা যাচ্ছে।আর এই বাজার অর্থনীতির যুগে সূচকই জানান দেয়,অর্থনীতির স্বাস্থ্য কেমন রয়েছে। আর বাজার চাঙ্গা হওয়ার অন্যতম লক্ষ্মণ হল ফিচ রেটিং বৃদ্ধি পাওয়া।ফিচের প্রতিবেদেনে  দেখা যাচ্ছে,১৮জুন শেষ হওয়া সপ্তাহে   আশাতীতভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।মার্চে যা ৭শতাংশ ছিল তা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭.২শতাংশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেনস,বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেলে বা ক্রেতাদের ব্যয় বৃদ্ধি পেলেই এই ফিচ রেটিং বৃদ্ধি পায় বাজারে।উল্লেখ্য,২০২৫-২৬ ও ২০২৬-২৭ অর্থবর্ষে এই ফিচ বৃদ্ধির হার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল যথাক্রমে ৬.৫শতাংশও ৬.২শতাংশ।ফিচের এই বিশ্বব্যাপী আর্থিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞরাও আরও বলছেন,ভারতীয় অর্থনীতিতে  শ্রীবৃদ্ধি ৭.২শতাংশের মধ্যেই থাকবে।এই প্রসঙ্গে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কথাও মনে রাখা দরকার।শীর্ষ ব্যাঙ্ক জানায়,  বর্তমান অর্থবছরে এই ফিচের শ্রীবৃদ্ধি ৭.২শতাংশে থাকতে পারে। এই শ্রীবৃদ্ধির মাঝে আরও আশার কথা শোনানো হয়েছে,যে বিনিয়োগ ক্রমাগত বৃদ্ধির চূড়ায় উঠবে।বর্তমান আর্থিক সময়কালের থেকে এই শ্রীবৃদ্ধি আরও বাড়তে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।ক্রেতাদের আস্থা ক্রমশ বাজারের প্রতি বাড়ায় আশা করা হচ্ছে এই বিনিয়োগের অনুকূল পরিস্থিতি জারি থাকবে।

বাজারের শ্রীবৃদ্ধির সূচক  –

পার্চেজিং ম্যানেজার্স সার্ভে বা ক্রয় সংক্রান্ত সমীক্ষায় আরও উঠে এসেছে,বর্তমান অর্থ বছরে আর্থিক বৃদ্ধির প্রসার ঘটবে।কারণ এবছর স্বাভাবিক বর্ষার কারণে পর্যাপ্ত বৃষ্টি হবে।যার জন্য আর্থিক বৃদ্ধি আশাতীত জায়গায় যেতে পারে। একইসঙ্গে পূর্বাভাস মিলছে মুদ্রাস্ফীতির স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে।তাপপ্রবাহ,আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি কৃষিকে সেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারবে না বলেই আশা করা হচ্ছে। ফিচের তরফে আরও সংযোজন করা হয়েছে,ক্রেতাদের বাজারে খরচ ও বিনিয়োগের বহর বাড়ার জন্য বাজার চাঙ্গা থাকবে।মধ্যকালীন আর্থিক বৃদ্ধির প্রবণতা খতিয়ে দেখে অনেকেই বলছেন এই আর্থিক স্ফীতি আগামীদিনে জারি থাকবে।

এই প্রসঙ্গে আরও বলা যায়,২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ভারতীয় অর্থনীতির বৃদ্ধি ৮.২শতাংশে থাকবে বলে ভাবা হয়েছিল। যেখানে মার্চের আর্থিক সময়কালে বৃদ্ধি ধরা হয়েছিল ৭.৮শতাংশ। ফিচের তরফে আরও প্রত্যাশা করা হয়েছে,২০২৪-এর শেষ সময় কালে এই মুদ্রাস্ফীতি ৪.৫শতাংশেই থাকবে। আর ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে এই গড়পড়তা মুদ্রাস্ফীতির হার ৪.৩শতাংশের কাছেই থাকবে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ভারতীয়  অর্থনীতি নিয়ে তাদের বিশ্লেষণমূলক প্রতিবেদনে তুলে ধরে যে এবার তারা পলিসি ইনটারেস্ট রেট ২৫বেসিস পয়েন্টে কমাবে,চলতি  বছরে সেই হার ৬.২৫শতাংশের মধ্যে রাখার কথাও তুলে ধরা হয়েছে শীর্ষ ব্যাঙ্কের তরফে।

ফিচের বিশ্বব্যাপী অর্থনীতির বিস্তার নিয়ে যে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে তা যথেষ্ট অর্থবহ।সেখানে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে,

ভারতীয় অর্থনীতির বৃদ্ধি ৭.২শতাংশে থাকবে। ফলে বলা যায় যাবতীয় হিসেব নিকেশ পূরণ করে এদেশের অর্থনীতির অগ্রগতি ঘটছে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা।তবে খোলাবাজার অর্থনীতির দেশে বাজারে স্থিতিশীলতা বজায় রাখা যে জরুরি তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।সেজন্য কেন্দ্রীয় সরকারের সুনির্দিষ্ট আর্থিক নীতি,বিনিয়োগ অনুকূল পরিবেশ বজায় রাখা প্রয়োজন বলে অর্থনীতিবিদদের একাংশের অভিমত।সবিমিলিয়ে বলা যায়,ভারতীয় অর্থনীতিতে বেকারত্ব,আর্থিক অনিশ্চয়তা থাকলেও দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যপূরণে উপযুক্ত নীতি কার্যকর করলে যাবতীয় প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে ওঠা যেতে পারে বলেও অর্থনীতির নীতিকাররা মনে করছেন।