“যে সব পুজো কমিটি অনুদান নেবে না…”, কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?
"All puja committees will not take donations...", what did the Chief Minister say?

Truth Of Bengal : আরজি কর কাণ্ডে অগ্নিগর্ভ গোটা দেশ। দুর্গাপূজার সরকারি অনুদান নিতে নাকচ রাজ্যের পুজো উদ্যোক্তাদের। অনেকে প্রতিবাদ স্বরূপ অনুদান প্রত্যাখ্যান করেছেন। অনুদান ফিরিয়ে দেওয়া নিয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার ছিল নবান্নে আয়োজিত প্রশাসনিক বৈঠক। সেই বৈঠকে প্রথমেই পূজোর বিষয়ে নিজের মতামত জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ” পুজোর টাকা নিয়ে এবার অতিরিক্ত কিছু আবেদন আমাদের কাছে এসেছে। সবাইকে হয়তো সাহায্য করতে পারব না। ৪৫০ কোটি খরচ হয় ক্লাবগুলিকে দেওয়ার জন্য। সেই টাকা মঙ্গলবার থেকে দেওয়া শুরু হবে। যদি কেউ না নিতে চান, ঠিক আছে। নতুন যে লিস্ট এসেছে, বা আবেদন করেছেন, তাদের দিয়ে দেবেন। নতুন অনেকের আবেদন আমাদের কাছে এসে পড়ে আছে। সবাইকে হয়তো পারবোনা একসঙ্গে দিতে। কারণ টাকাটা বেড়ে অনেকখানি হয়ে গিয়েছে।”
প্রসঙ্গত, এ বছরের পুজোতে রাজ্যের অনুদান নাকচ করেছে নেতাজিনগর বাস্তুহারা সমিতি। ইতিমধ্যেই বেহালার থানাকে মেইল করে বেহালার সবেদা বাগান ক্লাব জানিয়েছে, সরকারি পূজোর অনুদান তারা নেবে না। এছাড়াও অনুদান না নেওয়ার তালিকায় রয়েছে কলকাতার গার্ডেনরিচের মুদিয়ালি আমরা কজন পুজো কমিটি সহ হুগলি এবং পূর্ব বর্ধমান জেলার বেশ কয়েকটি পুজো কমিটি। তবে এত কিছুর মাঝে বাদল পল্লি মহিলা দুর্গোৎসব কমিটি, বাঁশদ্রোণী কালীতলা পার্ক নাগরিক সেবা সমিতি এবং নিবেদিতা পার্ক অ্যাসোসিয়েশন আবার সরকারি অনুদান পেতে নতুন করে আবেদন জানিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এই তিন পুজো কমিটি পুজোর অনুদান পাবে বলেই প্রশাসন সূত্রে খবর।
মমতা বলেছেন, ‘‘পুলিশি অ্যাকশন এখন থেকেই করতে হবে। যাতে পুজোর সময় পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা না হয়, তা দেখতে হবে। যার যা খুশি থিম করার অধিকার আছে। কিন্তু এমন কিছু আমরা করব না, যাতে কোনও দুর্ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে পুজো কমিটিগুলিকেই দায়িত্ব নিতে হবে। এই পুজোকে কেন্দ্র করে অনেকের রুজিরোজগার হয়। অনেক বিদেশি অতিথিরা আসেন। সারা দেশ থেকে মানুষ আসেন। তাঁদের যেন কোনও রকম অসুবিধা না হয়, সেটাও দেখতে হবে।’’
পুজো কমিটির পাশাপাশি প্রশাসনের কর্তাদের বার্তা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘পুজো আসছে, অ্যাডমিনিস্ট্রেশনকে দেখে নিতে হবে। পুজো কমিটিগুলোর যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তা নিশ্চিত করতে প্রত্যেক ডিএম, এসপি এলাকা ভিজ়িট করুন। ভিজ়িট করে দেখুন, কার কী সমস্যা রয়েছে। আগে যেমন আমরা করতাম, আইসি-দেরও বলব, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি ভিজিট করুন। যেখান থেকে মিড ডে মিল দেওয়া হয়, সেই সব জায়গায় শিক্ষা দফতরের তরফেও নজরদারি করুন।’’