কলকাতায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা কম, বর্ষায় মশাবাহিত রোগের দাপট কমাতে লাগাতার প্রচারে জোর
Emphasis on continuous promotion to reduce the prevalence of mosquito-borne diseases in monsoon

Truth of Bengal: এবার কলকাতায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৬২শতাংশ এবং ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা ৫৩শতাংশ কম। তবুও বর্ষায় মশাবাহিত রোগের দাপট কমাতে লাগাতার প্রচারে জোর দেওয়া হচ্ছে। শহরবাসীর উদ্দে্শ্যে জানিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। পাশাপাশি রোগ দূরীকরণে তিনি নাগরিক সচেতনা বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছেন।
মশাবাহিত রোগের প্রকোপ সবচেয়ে বেশি থাকে সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে নভেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত। এই সময়ে যাতে গতবারের তুলনায় ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা কম থাকে, স্বাস্থ্য বিভাগ তার দিকে নজর দিচ্ছে। রোগ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে রোগ দমনে একগুচ্ছ কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুর-কর্তৃপক্ষ। একদিকে রোগ নিয়ন্ত্রণে জমা জল সরানো থেকে মশার আঁতুরঘরে হানা দিচ্ছে পুরপ্রশাসন। আর অন্যদিকে আবাসন সহ বড় বাড়ির মালিকদের সচেতন করতে দেওয়া হচ্ছে কড়া বার্তা।যাতে রোগ না ছড়িয়ে পড়ে।তাতে সুফল মিলছে। আগের বছরের তুলনায় ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়া বেশ কম বলে পুর প্রশাসনের কর্তারা জানিয়েছেন। পরিসংখ্যানে স্পষ্ট এবার ডেঙ্গি ৬২শতাংশ কম আর ম্যালেরিয়া ৫৩শতাংশ কম রয়েছে।তথ্য মিলেছে,১১.১১.৮ অবধি ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৫৫, গত বছর যেখানে এই সংখ্যাটা ছিল ৬৭২। একইসঙ্গে গতবছর যেখানে ম্যালেরিয়া ছিল ২হাজার ৮৮৮,এবছর সেখানে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে,১হাজার ৩৫৮।
পুরপ্রশাসন মনে করছে, শুধু পুরসভাকেই দায়িত্ব পালন করলে হবে না। কলকাতার বাসিন্দারা যত ক্ষণ সতেচন হবেন না, তত ক্ষণ ডেঙ্গি বা ম্যালেরিয়ার মতো রোগ পুরোপুরি আটকানো যাবে না। তাই কলকাতা পুরসভার অনুরোধ, জল খেয়ে ডাবের খোলা ফেলে রাখা যাবে না। কারণ, সেখানে জল জমলেই মশার প্রকোপ বাড়বে। পাশাপাশি, সপ্তাহে অন্তত এক দিন বাড়ির ছাদ এবং চারপাশ পরিষ্কার রাখার বার্তাও দেওয়া হয়েছে শহরবাসীকে। এ ছাড়াও কলকাতা শহরে থাকা পুকুরগুলিতে গাপ্পি, কাতলা, শোল, ল্যাটা মাছ ছেড়েও মশা নিধনের কৌশল নিচ্ছে কলকাতা পুরসভা।একইসঙ্গে জমা জল সরানো থেকে জল যন্ত্রণা নিয়েও পুরসভা তত্পর। পুরবাসীকে স্বস্তি দেওয়ার জন্য পুরকর্তৃপক্ষ সবরকম ব্যবস্থা নিয়েছে তাও উঠে আসে মহানাগরিকের কথায়। পুজোর আগে রাস্তা সারাই থেকে সৌন্দর্যায়ন সবদিকেই প্রশাসন সক্রিয় ভূমিকা নিতে চায়।