বিহারের নিখোঁজ ব্যাক্তিকে ঘরে ফেরালো চুঁচুড়া থানার পুলিশ।মানবিক মুখ পুলিশের।
The police of Chunchura police station brought back the missing person of Bihar. The humanitarian face of the police.

The Truth OF Bengal: সাম্প্রতিক সময়ে অচেনা অজ্ঞাত কাউকে দেখলে তার আচরনে অস্বাভাবিকতা থাকলে সন্দেহের বাতাবরন তৈরী হয়েছে। মারধোর গণধোলাইয়ের ঘটনা ঘটেছে একাধিক। সেই সময় দাঁড়িয়ে এমনই একজন মানুষকে উদ্ধার করে বাড়ি ফেরালো চুঁচুড়া থানার পুলিশ।
মানবিক মুখ চন্দননগর পুলিশের। দিন দশেক আগে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন,কলকাতায় জোগাড়ের কাজ করেন দুদিন।কলকাতা থেকে বাড়ি ফেরার জন্য বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান বছর চল্লিশের ধরম মাহাত। রাঁচিতে মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসা চলছে বলে জানান তাঁর স্ত্রী চাঁদনী দেবী। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চুঁচুড়া রবীন্দ্র নগর এলাকায় গতকাল রাতে তাকে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। এর তার গায়ে পড়ে যাওয়ায় তাকে মারধরের পরিস্থিতি তৈরী হয়। পুলিশ জানতে পেরে দ্রুত সেখানে পৌঁছে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। চুঁচুড়া থানার আই সি রামেশ্বর ওঝা ধরমকে চা খাইয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন।ঠিক কি বলছে তা বোঝা যায় না।বিহারের বক্সার জেলায় গ্রামের বাড়ি আই সি রামেশ্বর ওঝার।পড়াশোনা নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনে। সাতটি ভাষায় সড়গড় তিনি।ধরমের কথা শুনু বুঝে নেন মগহি বা কোট্টা হিন্দি বলছেন। একটা কাগজ পেন দিয়ে তাকে নাম লিখতে বলেন।ধরম নিজের নাম লেখেন।এরপর জমুই জেলার নাম লেখেন।কোন থানা সেটা বলতে পারেনা।আই সি ‘জমুই’ এর থানা গুলোর নাম বলতে শুরু করেন। ‘চকাই’ থানার নাম বলতে ধরমের চোখ চকচক করে ওঠে।’নগরী’ গ্রামের নাম বলে।
চুঁচুড়া থানার পুলিশ চকাই থানায় ধরমের ছবি দিয়ে জানতে চায় তার বাড়ি নগরী গ্রামে কিনা?চকাই পুলিশ জানায় নিখোঁজ ছিলেন ধরম। ধরমের স্ত্রী খবর পেয়ে ব্যান্ডেলে তার জামাইবাবু বলদেব মাহাতকে জানায় থানায় গিয়ে খোঁজ নিতে। আজ থানায় এসে ধরম মাহাতকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যায় তার পরিবার। চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি জানান,রবীন্দ্র নগরে এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যাক্তিকে উদ্ধার করে পুলিশ।তার বাড়ির ঠিকানা পেয়ে তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।