রাজ্যের খবর

বৃষ্টির দেখা নেই মালদার হাবিবপুরে, কৃষকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ

There is no rain in Malda's Habibpur, farmers are worried

The Truth of Bengal: অন্যান্য জেলায় অতিবৃষ্টি হলেও মালদার হবিবপুরে সেভাবে এখনও বৃষ্টি হয়নি। টাঙ্গন নদীর জলসেচ প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শুকিয়ে যাচ্ছে ধানের গোড়া। অন্ততঃ ৪০০বিঘে জমির মাটি ফেটে চৌচির।কয়েকশো বিঘে জমিতে সেচের জলই ভরসা। আশা,আগামীদিনে বৃষ্টি  বাড়লে এই  চাষের বড় সুবিধা হতে পারে।

জুলাই মাসে দেশের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে । ফলে হাসি ফুটেছে কৃষকদের মুখে।অগাস্ট পড়তেই বৃষ্টির দামাল রূপ দেখা যাচ্ছে।বাংলার নানা অংশে বৃষ্টি হলেও মালদার হবিবপুরে সেভাবে এখনও বৃষ্টি হয়নি।যারজন্য হবিবপুরের কৃষকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ বেড়েছে।  বিশেষতঃ টাঙ্গন নদীর জলসেচ প্রকল্প বন্ধ হয়ে রয়েছে অন্তত দেড় মাস। টাঙ্গন নদী থেকে জল তুলে পাইপ লাইনের মাধ্যমে  জল পৌঁছয় আশপাশের এলাকায় অন্তত চারশো বিঘে কৃষি জমিতে। কিন্তু, গত দেড় মাস ধরে এই প্রকল্পে এক ফোঁটা জলও পৌঁছায়নি কোনও কৃষি জমিতে। ফলে মাথায় হাত কৃষকদের। অনেকেই সরকারি ঋণ নিয়ে চাষবাস করেন। এখন জলের অভাবে এবারের মরশুম নষ্ট হয়ে যাওয়ার মুখে। জল না পেয়ে জমিতেই শুকিয়ে যাচ্ছে ধানগাছ। অন্তত চারশো বিঘে মাঠ ফেটে চৌচির হয়ে গেছে জলের অভাবে। তাঁদের একটাই প্রার্থনা মালদায় পর্যাপ্ত বৃষ্টি হোক।যাতে চাষের লাভ হয়।

এই জলসেচ প্রকল্পের মাধ্যমে আইহো, বক্সীনগর, চাচাইচন্ডী, প্রভৃতি এলাকার কৃষকেরা চাষের জল পেতেন। এখন সবই বন্ধ। জলের বিকল্প কোনও উৎস নেই বিস্তীর্ণ এলাকায়। এই পরিস্থিতিতে অবিলম্বে জলের যোগানের দাবি করেছেন কৃষকেরা।ওই এলাকায় কৃষি জমিতে জলসংকটের কথা স্বীকার করেছে জলসম্পদ উন্নয়ন ও অনুসন্ধান দফতর। তবে তাঁদের আশ্বাস, জলপ্রকল্প মেরামতের কাজ চলছে, দীর্ঘদিনের পুরনো ওই প্রকল্প ভেঙেচুরে গিয়েছিল। এখন কাজ শুরু হয়েছে। ওই প্রকল্প চালু করতে অন্তত আরও এক সপ্তাহ সময় লাগবে। আশা করা হচ্ছে,বিস্তীর্ণ এলাকার কৃষিকাজের সুবিধার জন্য শীঘ্রই সেচের সুবিধা মিলবে।কৃষকদের সামগ্রিক উন্নয়নে জেলা প্রশাসন যে উদ্যোগী রয়েছে তা বলাই যায়।

Related Articles