রাজ্যের খবর

অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে ল্যাংচা, শক্তিগড়ে মিষ্টির দোকানে অভিযান খাদ্য দফতরের

Langcha is being made in unhygienic environment, food department's raid on sweets shops in Shaktigarh

The Truth Of Bengal : মিষ্টি প্রেমী অথচ ল্যাংচা খান না এমন মানুষ হয়ত পাওয়া বিরল। আর যদি হয় সত্যিকারের বিখ্যাত সেই ল্যাংচা তাহলে তো কোনো কথাই হবে না। কিন্তু আপনি মনের আনন্দে যে বিখ্যাত লাংচাটি খাচ্ছেন তা কি আদেও স্বাস্থ্যকর? বৃহস্পতিবার বর্ধমান জেলা স্বাস্থ্য দফতর, খাদ্য সুরক্ষা দফতর এবং জেলা পুলিশের দশটি টিম শক্তি গড়ের জাতীয় সড়কের ধারে ল্যাংচা বাজারে অভিযান চালান। কিন্তু হঠাৎ কেন এই অভিযান? অভিযোগ, সত্যিকারের বিভিন্ন দোকানের ল্যাংচা নাকি অস্বাস্থ্যকর রান্নাঘরে তৈরি হয়। আর এই অভিযোগ পেয়েই প্রশাসনের তরফে শক্তিগড়ের একাধিক দোকানে হানা দিতে উপস্থিত হয়েছিলেন বিভিন্ন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। আর অভিযান চালিয়েই একেবারে চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার জোগাড়! একাধিক ল্যাংচার দোকানের রান্নাঘরে অস্বাস্থ্যকর চিত্র সামনে আসে। এই পরিস্থিতি দেখে বেশ কিছু দোকান বন্ধ করে রাখার নির্দেশ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বর্ধমান জেলার উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। কবে তার পরিসংখ্যান কত তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্টভাবে কিছু জানাননি তিনি।

বর্ধমানের বিশ্ব বিখ্যাত ল্যাংচা শুধুমাত্র যে বাঙালিরাই পছন্দ করেন তা নয়। বহু দেশ-বিদেশেও এই মিষ্টির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কিন্তু শক্তিগড়ের রান্নাঘরে কিনা এরূপ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ! ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে বর্ধমানের আমড়ায় অবস্থিত এই শক্তিগড়ের ল্যাংচা হাব ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সাধারণত কলকাতা সহ বিভিন্ন শহরে বড় কোন সমাবেশ থাকলে প্রচুর মানুষ এই শক্তিগড় থেকেই ল্যাংচা কিনে নিয়ে যান। আর সামনেই যেহেতু একুশে জুলাই এর সমাবেশ তাই প্রচুর মানুষ কলকাতায় আসবেন। বাড়ি ফেরার পথে অনেকেই হয়তো ল্যাংচা কিনে নিয়ে যাবেন বলে ভেবে রেখেছেন। কিন্তু সেই ল্যাংচারই যদি গুণগতমান খারাপ হয় তাহলে তো মুশকিল।

বর্ধমান জেলার উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুবর্ণ গোস্বামী জানান, ” আমাদের কাছে এখানকার খাবার নিয়ে আগেও অভিযোগ এসেছিল। সেই অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে একুশে জুলাই এর সমাবেশের আগেই আমরা খাবারের গুণগত মান যাচাই করার উদ্যোগ নিয়েছিলাম।”

তিনি আরও বলেন, “অনেকে লাইসেন্স নিচ্ছেন না। কিছু রান্নাঘর অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর। কালিঝুলিতে ভর্তি। কিছু দোকানকে আমরা নির্দেশ দিয়েছি এই পরিস্থিতি বদলের। আর যে দোকানগুলির অবস্থা অত্যন্ত খারাপ সেগুলি বন্ধ করার নোটিশ আমরা দেব। যতক্ষণ না পর্যন্ত ওই দোকানের মালিক পরিস্থিতি বদলানোর জন্য উদ্যোগ না নেন, ততক্ষণ পর্যন্ত দোকান বন্ধ থাকবে।”

Related Articles