রাজ্যের খবর

জলে ভেসেই জীবিকা নির্বাহ, ভাগীরথী থেকে বাঁচার রসদ সংগ্রহ

Livelihood floating on water, collecting survival supplies from Bhagirathi

The Truth of Bengal: জলই ওদের জীবন। জলের ওপর জীবিকা নির্বাহ করে চলে ওদের সংসার। ভাগীরথীর বুকে ছোট্ট একটি ডিঙি নৌকো নিয়ে মাছ ধরে চলেছেন ওঁরা। কখনও নৌকো ভর্তি মাছ ধরা পড়ে। কখনও আবার খালি হাতে ফিরতে হয়। তবে জাল নয়, বড়শি দিয়ে মাছ শিকার করেন ওঁরা। এভাবেই চলছে ওদের জীবনযাত্রা। সকাল থেকে শুরু করে বিকেল পর্যন্ত ভাগীরথীর জলে ডিঙি নৌকার ওপর বসে বড়শি দিয়ে মাছ ধরেন ওঁরা। কখনও রিঠা মাছ, কখনও বেলে মাছ। আবার কখনও কখনও অন্যান্য মাছ ধরা পড়ে। বলা যায়, জলই ওদের জীবন। জলের ওপর জীবিকা নির্বাহ করে চলে ওদের সংসার। ভাগীরথীর বুকে ভেসে বেড়ানো ওই মৎস্যজীবীদের কখনও নৌকো ভর্তি মাছ ধরা পড়ে।কখনও আবার খালি হাতে ফিরতে হয়। এভাবেই চলছে ওদের জীবনযাত্রা।

ওই মাঝিদের কথা শোনাবো আজ আপনাদের। সকালে দিন শুরু হয়। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভাগীরথীর জলে ডিঙি নৌকার ওপর ওপর বসে বড়শি দিয়ে মাছ ধরেন। কখনও রিঠা মাছ, কখনও বেলে মাছ। আবার কপাল ভাল থাকলে অন্য কোনও মাছ ধরা পড়ে। ভাগীরথীর বক্ষে ভেসে চলে এই ভাবেই ওঁরা জীবিকা নির্বাহ করে চলেছেন। বর্তমানে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে প্রত্যেকেরই জীবনযাত্রা পাল্টে গেলেও এই মানুষগুলি যে তিমিরে ছিলেন, সেই তিমিরে রয়ে গিয়েছেন। এতটুকুও বদলায়নি তাঁদের জীবনযাত্রা। সেই একই রুটিন।

সকাল হলেই ওঁরা বহরমপুরের ভাগীরথীর এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত ধার বরাবর বড়শি হাতে মাছ ধরা শুরু করেন। উপকরণ বলতে টিনের তৈরি ছোট্ট একটি ডিঙি নৌকা। রোড, জল, ঝড় সামলে সেই ডিঙি নৌকায় বসে ওঁরা মাছ ধরেন। সারাদিন ধরা মাছ বহরমপুরের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বিক্রি করেন। এভাবেই চলছে তাঁদের রুটি-রুজি। বর্ষার মরসুম চললেও এখনও বর্তমানে মুর্শিদাবাদ তথা বহরমপুরের বুকে সেভাবে বর্ষা নামেনি। যার ফলে এখনও নতুন মাছের ডিম থেকে বাচ্চা বের হতে আরও বেশ কিছুটা সময় লাগবে। কাজেই এখন বেশ কিছুটা হলেও এই বাজার মন্দা। তবু আশার আলো দেখেন ওই মৎস্যজীবীরা। সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে প্রত্যেক দিনই ডিঙি নিয়ে গঙ্গাবক্ষে জীবিকা নির্বাহ করে বেঁচে আছেন ওরা।

Related Articles