চাকরি ছেড়ে খুন্তি হাতে বাজিমাত গ্রাজুয়েট পিউ দির, স্পেশাল কম্বো মন কাড়ছে ক্রেতাদের
Bajimat graduate pew dir, special combo is appealing to buyers

The Truth Of Bengal : হুগলি : রাকেশ চক্রবর্তী : চুঁচুড়া কোর্ট চত্বরে এখন দুপুর হলেই ভিড় জমছে গ্রাজুয়েট পিউদির দোকানে। অল্প দামে সুস্বাদু গ্রাজুয়েট দিদির স্পেশাল পোলাও চিকেন কম্বো মন কেড়েছে ক্রেতাদের। সংসারের হাল ধরতে গ্রাজুয়েশন পাস করে অল্প বেতনে চাকরি ছেড়ে বাবার দোকানেই পরিবারের সঙ্গে নতুন ব্যবসার কাজ শুরু করেন গ্রাজুয়েট দিদি পিউ দাস। এখন প্রতিদিন তার দোকানে দুপুর হলেই ভিড় জমছে গ্র্যাজুয়েট পিউ দীর রান্না খাবার জন্য।
চুঁচুড়া ধরমপুর আদর্শ পল্লীর বাসিন্দা লক্ষণ দাস ও দিপালী দাসের মেয়ে পিউ দাস। বাবা লক্ষণ দাস বছর তিনেক আগে একটি ছোট্ট ঠেলা দোকান দিয়েছিলেন চুঁচুড়া কোর্টের মাঠের ধারে। তখনো মেয়ে পিউ কলেজ পড়ুয়া। চন্দননগর খলিশানি কলেজের ফিলোজফি অনার্সের ছাত্রী ছিলেন পিউ দাস। কলেজ শেষ করে একটি প্রথম দিকে হোস্টেলে ওয়ার্ডডেন্টের কাজ করতেন পিউ। বরাবরই নিজে রান্না করতে ভালবাসতেন এবং লোককে খাওয়াতে ভালবাসতেন তিনি। তাই ওয়ার্ডডেন্টের চাকরি ছেড়ে বাবার পাশে দাঁড়াতেও সংসারের হাল ধরতে বাবার দোকানেই শুরু করেন নতুন স্টার্টআপ। পোলাও চিকেন ফ্রাইড রাইস ও আলুর দম তাও আবার একদম অল্প দামে।
এই বিষয়ে পিউ বলেন, পড়াশোনা শেষ করে চাকরি করছিলেন তিনি। তবে সেই চাকরি ছেড়ে তিনি সিদ্ধান্ত নেন নতুন কিছু শুরু করবেন। আর রান্না করা তার যখন শখ তাই মানুষকে কম খরচে সুস্বাদু খাবার খাওয়ানোর সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তারপর থেকেই বাবার দোকানে নতুন সুরুয়াত। যে দোকান লোক আগে চিনত না এখন লোক মুখে ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে গ্রাজুয়েট দিদির দোকান নামে। প্রতিদিন কঠিন পরিশ্রমের পরে গোটা পরিবারের ওই দোকান থেকে যা আয় হয় তাই দিয়েই চলে তাদের সংসার। মুনাফা কম হলেও মানুষকে ভালো খাবার খাওয়ানোর জন্য কম মুনাফাতেই এই কাজ চালিয়ে যেতে চান গ্রাজুয়েট দিদি পিউ।
দর্শনশাস্ত্র নিয়ে স্নাতক পাস করেছেন পিউ। তাই জীবনের দর্শনে, পরিবারের পাশে দাঁড়াতে ও সংসারের হাল ধরতে পিউ হয়ে উঠেছেন এলাকার গ্রাজুয়েট দিদি। যার দোকানে আসলে অল্প খরচে পেট ভরা ও সুস্বাদু মন ভরা খাবার পাওয়া যায়।