কলকাতা

পরাজয়ের পর দল বিরোধী কাজে সাসপেন্ড অভিজিৎ

After the defeat, Abhijit was suspended for anti-party activities

The Truth Of Bengal :  দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল। ডায়মন্ড হারবারে বিজিবির কেন্দ্রীয় টিমকে ঘিরে বিক্ষোভ। কেন্দ্রীয় দলের হেনস্তার ঘটনায় অস্বস্তির সুর সুকান্তর গলায়। ‘কিছু বিশৃঙ্খল লোকজনের কাজ’ মন্তব্য সুকান্তের। দল বিরোধী কাজের শাস্তিতে সাময়িক বরখাস্ত অভিজিৎ দাস(ববি)। লোকসভা নির্বাচনে ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন অভিজিৎ।

বিজেপির দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি তাকে সাময়িক সাসপেন্ড করেছে। ডায়মন্ড হারবারে কেন্দ্রীয় দল কে হেনস্থার ঘটনায় ইন্ধনসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে পরাজিত এই প্রার্থীর বিরুদ্ধে। সাত দিনের মধ্যে দল বিরোধী কাজের কারণ জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাকে। তবে অভিজিৎ দাবি করেছেন তিনি এখনো কোন চিঠি পাননি। দলীয় কার্যালয় তালা লাগানো, ভোট পরবর্তী হামলায় আক্রান্তদের দলের বৈঠকে যেতে না দেওয়া, এছাড়াও একাধিক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। পরাজিত প্রার্থীর সাসপেন্ড এর ঘটনায় সরগরম রাজ্য রাজনীতি।

ভোটে ব্যাপক ধাক্কা খাওয়ার পরেও বাংলার বিজেপির ঘরোয়া  কলহ থামছে না। ঘুরে দাঁড়ানোর পথ খোঁজার পরিবর্তে পদ্ম শিবির  আরও গৃহযু্দ্ধে  জড়িয়ে পড়ছে। কেন্দ্রীয় টিমের সামনেও শৃঙ্খলা ধরে রাখতে পারল না রাজ্য বিজেপির নেতারা। পরিবর্তে দক্ষিণ ২৪পরগনা জেলা সভাপতিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে নালিশ ঠুকলেন পুরনো ব্লকের নেতা-নেত্রীরা।  আমতলায় দুই শিবিরের দ্বৈরথ এতটাই চরম আকার নেয়,যা ঘিরে তুলকালাম বাঁধে। পরস্পর-পরস্পরকে তুলোধনা করে।

বাংলায় ভোট পরবর্তী পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এসেছেন রবিশঙ্কর প্রসাদের নেতৃত্বে টিম।সেই টিমে রয়েছেন বিপ্লব দেব সহ অন্যান্য নেতারা।মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় টিমকে কাজে পেয়ে জেলা সভাপতি অভিজিত্ দাস ববির বিরুদ্ধে বিজেপির মণ্ডলের নেত্রীরা ক্ষোভ উগরে দেন।তাঁদের স্পষ্টকথা,বিজেপির জেলা সভাপতি ইচ্ছেমতো দল চালাচ্ছেন।পুরনো কর্মীদের একেবারেই মর্যাদা দিচ্ছেন না।শুধুই লবিবাজি আর দাদাগিরি চলছে বলে সোচ্চার হন ক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা-কর্মীরা।নব্য-পুরনোর কাজিয়ার কথা শুনতে গিয়ে কাহিল অবস্থা হয় রবিশঙ্কর প্রসাদ,বিপ্লব দেব সহ অন্য নেতাদের।   কার্যতঃ শ্যাম রাখি না কুল রাখি অবস্থা হয়।

আমতলার মতোই   বিপ্লব দেবের গাড়ি আটকেও বিক্ষোভ দেখান ডায়মণ্ডহারবার সহ অন্যান্য অংশের বিজেপি নেতা-কর্মীরাও  । কিন্তু বিপ্লব দেব গাড়ি থেকে নামেননি বলেই অভিযোগ।  গোষ্ঠী কোন্দলের  মাঝে অগ্নিমিত্রা পালকে বঞ্চিত-বিধ্বস্ত নেতারা প্রশ্ন তোলেন,পুরনোদের ছেড়ে নতুনদের নিয়ে চালাকি করছেন।কোনমতে কেন্দ্রীয় টিম পালিয়ে বাঁচেন।এরপরেও কীকরে বিজেপি বাংলায় ভরাডুবির জন্য তৃণমূলকে দায়ী করছে,তা নিয়েও কটাক্ষ করছে জেলার মানুষ।

Related Articles