ভ্রমণ

হাতে এক দিনের সময় নিয়ে কম খরচে ঘুরে আসতে চান? তাহলে অবশ্যই কলকাতা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে শরৎ কুঠি

State Tourism

The Truth of Bengal: কাজের চাপে কোথাও ঘুরতে যেতে পারছেন না। ভাবছেন দূরে গেলেই খরচা হবে, তাহলে ঘুরে আসুন কলকাতার কাছে ঢিল ছোড়া দূরত্বে হাওড়া জেলা থেকে। যেখানে আছে কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের নানা ইতিহাসের কথা। সেই গ্রামের নাম সামতাবেড়। শান্ত নিরিবিলি এই গ্রামে আসলে একটু হাওয়া বদলের পাশাপাশি কাজের চাপ থেকে মুক্ত হয়ে শুদ্ধ বাতাসে নিশ্বাস নিতে পারবেন। সারা সপ্তাহ কাজের চাপ। এই চাপের মধ্যে শুদ্ধ বাতাসে নিশ্বাস নেওয়ার সময় নেই আপনার। এত চাপের মাঝে একটু হাওয়া বদল করা উচিত সকলের। মাসের সবে শুরু। এখনই মাইনে পাননি অফিসে, তাই ভাবছেন দূরে কোথাও যাবেন না, গেলেই খরচা। তাই কলকাতার কাছেই ঢিল ছোড়া দূরত্বে ঘুরে আসুন হাওড়া জেলার সামতাবেড় গ্রামে। যে গ্রামের শান্ত নিরিবিলি পরিবেশ আপনাকে আকর্ষণ করবে । কথিত আছে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কালজয়ী বহু উপন্যাস ও গল্প লিখেছেন এই গ্রামের শান্ত নিরিবিলি পরিবেশের মাঝে। এই জায়গার পরতে  পরতে জড়িয়ে রয়েছে কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের নানা ইতিহাসের কথা। রূপনারায়ণ নদীর তীরে অবস্থিত তাঁর বাড়ি দেখতে বহু পর্যটকরা এসে থাকেন। এই বাড়িতেই জীবনের শেষ ১২ বছর কাটিয়েছিলেন কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।

কলকাতা থেকে মাত্র ৬০ কিলোমিটার দূরেই রয়েছে দেউলটি। দেউলটি স্টেশনে নেমে সেখান থেকে যেতে হবে সামতাবেড়। এই গ্রামে যাওয়ার পথে আপনার চোখে পড়বে পর পর গোলাবাড়ি। একেবারে গ্রাম্য পরিবেশ। শহরের এই যান্ত্রিকতা ছেড়ে মাটির সঙ্গে পরিচয় হবে আপনার। এই দোতলা বাড়িটি ব্রহ্মদেশীয় স্থাপত্যের অনুকরণে তৈরি করা হয়েছে। এখানে আসলে দেখতে পাবেন নতুন করে গড়ে উঠেছে একটি জাদুঘর। কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বহু জিনিস এখানে সংগৃহীত করা রয়েছে। বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করলে দেখতে পাবেন বার্মা কাঠ দিয়ে সাজানো বিভিন্ন আসবাবপত্র।

এছাড়াও দেখতে পাবেন তাঁর লেখার ডেস্ক, জাপানি ঘড়ি, হুঁকো, তাঁর লেখা নানা বই। বাড়িতে রয়েছে একটি হোমিওপ্যাথি চেম্বার। এখানে যেতে গেলে আপনাকে সকাল ১০ টা থেকে ৫ টার মধ্যে যেতে হবে। এই বাড়ি থেকে কিছু দূরেই শ্রীরাধা এবং মদনগোপালের মন্দিরের গায়ে নিখুঁত টেরাকোটার কাজ দেখে আপনি অবাক হবেন। কিভাবে যাবেন? হাওড়া থেকে ট্রেনে করে পৌঁছে যান দেউলটি স্টেশন। সেখান থেকে নেমে হাঁটা পথে ৫ থেকে ১০ মিনিটের মধ্যে পৌঁছে যান কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে। এখানে থাকার জন্য আছে রিসর্ট। তাই রাত্রি যাপনের ক্ষেত্রেও অসুবিধা হবেনা আপনার।

Related Articles