
The Truth Of Bengal : আজকাল সাধারণ মানুষের দাঁতের ক্ষতি বা ভাঙ্গা প্রায় লেগেই রয়েছে। যার ফলে কখনো করাতে হচ্ছে ডেনচার আবার কখনো ইমপ্ল্যান্ট। এমতাবস্থায় যদি জানতে পারেন দাঁতের ক্ষতি ভবিষ্যতে স্থায়ী সমস্যা হবে না তাহলে? জাপান থেকে আসা সূত্রের খবর, নতুন করে দাঁত গজানোর স্বপ্ন দেখাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। Toregem Biopharma, ইউনিভার্সিটির সাথে যুক্ত একটি বায়োটেক স্টার্টআপ এবং বিজ্ঞানীদের একটি দল যৌথভাবে গবেষণা করে জানান, নতুন করে দাঁত গজানো সম্ভব।
আসুন এবার একটু বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক
দাঁত নতুন করে উত্থানের নীতি টেরোজেন বায়োফার্মা দ্বারা তৈরি একটি অ্যান্টিবডি ওষুধের চারপাশে ঘোরাফেরা করে। যে ওষুধটি ইটারিন সেনসিটাইজেশন অ্যাসোসিয়েটেড জিন-১ ( ইউএসজি-১) নামক একটি নির্দিষ্ট প্রোটিনকে লক্ষ্য করে। যেটি দাঁতের বিকাশে ব্যাঘাত ঘটায়। তাই এই প্রোটিনটি বাদ দিয়ে এই ওষুধটি মূলত গঠনের প্রক্রিয়াকে সক্রিয় করে তোলে। যাতে নতুন করে স্বাভাবিকভাবে আবার দাঁত গজাতে পারে। এই গবেষণায় প্রধান বিজ্ঞানী হলেন কিতানো হাসপাতালের ডেন্টাল কেয়ার এন্ড ওরাল সার্জারি বিভাগের প্রধান ডক্টর কাতসু তাকাহাশি। তাদের করা গবেষণা থেকে জানা যায় USAG-1 প্রোটিনকে যদি বাধা দেয় তাহলে নতুন দাঁতের শিকড় তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়। আর এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি প্রথমে কোন মানুষের ওপরে নয় প্রথম পরীক্ষা করা হয়েছিল ইদুর এবং ফেরেটের মত প্রাণীদের ওপর। আর তার ফলাফলে দেখা গিয়েছে ওই প্রাণীদের কোনরকম কোন গুরুতর ক্ষতি হয়নি বরং নতুনভাবে দাঁত গজিয়েছে।
এরপর কি তবে মানুষের ওপরে এই পরীক্ষা করার পালা?
ইদুর এবং ফেরেটের ওপর এই পরীক্ষাটি করার পর বিজ্ঞানীরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেপ্টেম্বরের প্রথম ধাপের ক্লিনিকাল পরীক্ষা শুরু করবেন। যা করা হবে মানুষের ওপরেই। প্রথমে ৩০ জন সুস্থ পুরুষকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে এই পরীক্ষায়।
পরীক্ষাটি সফল হলে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে?
এই পরীক্ষাটি যদি সফল হয় তাহলে এর পরবর্তী ধাপ হবে দুই থেকে সাত বছর বয়সী শিশুদের ওপরে প্রয়োগ করা। বিশেষ করে যারা জন্ম থেকে অ্যানোডোনটিয়াতে ভুগছে। বিজ্ঞানীদের অনুমান এই পরীক্ষাটি এই সমস্ত রোগাক্রান্ত শিশুদের ক্ষেত্রে স্থায়ী সমাধান দিতে সক্ষম হবে।