গরম থেকে একটু স্বস্তি দিতে দাওয়াই তালশাঁস, বাজারে চাহিদা তুঙ্গে
Demand for palm is high in summer

The Truth of Bengal: গরমে চাহিদা তুঙ্গে তাল শাঁসের। গ্রামের দিকে বিভিন্ন জায়গায় কচি তাল নিয়ে শাঁস বের বিক্রি করতে দেখা যাচ্ছে বিক্রেতাদের। তাল শাঁসে রয়েছে এমন কিছু পুষ্টিগুণ, যা শরীরে পক্ষে খুবই উপকারী। তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে মানুষের জনজীবন। গরম থেকে একটু স্বস্তি দিতে রসালো তালের শাঁসের জুড়ি মেলা ভার। ১০ টাকায় ৩-৪টি তালের শাঁস মিলছে। গরম যত বাড়ছে, বিক্রেতাদের বিক্রিও তত বাড়ছে। তাল একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ফল। ভাদ্র মাসে বাঙালির ঘরে ঘরে তালের বড়া খুব পরিচিত একটি খাবার। কিন্তু তার এখন বাজারে কচি তালের শাঁস। জানেন কী এই তালের শাঁসেই রয়েছে এমন কিছু পুষ্টিগুণ, যা শরীরে পক্ষে খুবই উপকারী। তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে মানুষের জনজীবন। গরম থেকে একটু স্বস্তি দিতে রসালো তালের শাঁসের জুড়ি মেলা ভার। নদিয়া জেলার বিভিন্ন এলাকায় গ্রামের রাস্তার দু’পাশে কচি তালের শাঁসের পশরা নিয়ে হাজির অনেকেই।
তীব্র গরমে কদর বেড়েছে মৌসুমি রসালো ফল তালের শাঁসের। রোদে তাপমাত্রা যত বাড়ছে ততই চাহিদা বাড়ছে এই তাল শাঁসের। গরমে অস্থির পথচারীদের এক মুহূর্তের জন্য হলেও তৃষ্ণায় স্বস্তি এনে দিচ্ছে কচি তালের শাঁস। তালের শাঁস শরীরের জন্য খুবই উপকারি একটি ফল। গরমের দিনে তালের শাঁসে থাকা জলীয় অংশ জলশূন্যতা দূর করে। এছাড়া ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সি, এ, বি কমপ্লেক্স-সহ নানা ধরনের ভিটামিন রয়েছে। তালে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। কচি তালের শাঁস রক্তশূন্যতা দূর করে। চোখের দৃষ্টি শক্তি ও মুখের রুচি বাড়ায়।
তবে এক সময় জেলায় জেলায় দেখা যেত প্রচুর তাল গাছ। এখন আর আগের মতো দেখা যায় না তাল গাছ। তাল গাছ এমনই একটি গাছ একবার লাগালেই হল। কোনও যত্নের দরকার হয় না। তাও গ্রাম্য এলাকা থেকে আজ হারিয়ে যাছে তাল গাছ। অল্প যে তাল গাছগুলি বেঁচে আছে সেই গাছ থেকে থেকে এখন কচি তাল পেড়ে শাঁস বের করে বিক্রি করা হচ্ছে। সব বয়সীদের কাছে তালের শাঁস প্রিয়। আবার মৌসুমি ফল বলে অনেকেই এই সময় একবার হলেও তাল শাঁস কিনে খান। ১০ টাকায় ৩-৪ টি তালের শাঁস বিকোচ্ছে। দামেও বেশ সস্তা, তাই বাজারে এর কদরও বেশি। সব মিলিয়ে গরম যত বাড়ছে, ততই তাল শাঁস বিক্রেতাদের বিক্রি বাড়ছে।