
The Truth Of Bengal : সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে অসমের শিলচরে ডলু চা বাগানে বিমানবন্দর তৈরি কাজ বন্ধ করা হল। পরিবেশগত ছাড়পত্র ছাড়াই কিভাবে বিমান বন্দর তৈরির কাজ চলছে তা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রর যৌথ নির্দেশে আপাতত বিমানবন্দর কাজ বন্ধ হল। ২০০৬ সালে এনভায়রনমেন্টাল ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট নোটিফিকেশন অনুযায়ী পরিবেশের গাছ কেটে যদি কোনও ব্রিজ বা স্টেশন বা বিমানবন্দর নির্মাণ করতে হয় তাহলে অবশ্যই পরিবেশগত ছাড়পত্র নেওয়া বাধ্যতামূলক।
এর আগে এই প্রকল্পের কাজ বন্ধ করার জন্য মামলা করা হয়েছিল জাতীয় পরিবেশ আদালতের পূর্বাঞ্চলীয় বেঞ্চে। কিন্তু সেই মামলা খারিজ করে দেয় জাতীয় পরিবেশ আদালতের পূর্বাঞ্চলীয় বেঞ্চ। এর পরেই এই মামলা নিয়ে সকলে দ্বারস্থ হয় সুপ্রিম কোর্টে। এই মামলা খারিজ করে দেওয়ার বিষয়ে এনজিটির প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছে সুপ্রিম । নিজেদের দায়িত্ব পালন থেকে পিছু হটেছে এনজিটি। এমনটাই জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে একটি অঞ্চলে কোথায় বিমানবন্দর হবে তা সম্পূর্ণ সেখানকার প্রশাসনের সিদ্ধান্ত। সিদ্ধান্ত প্রশাসন নিলেও প্রশাসনকে পরিবেশগত ছাড়পত্র নেওয়া উচিত ছিল।
অভিযোগ উঠেছিল বুলডোজার দিয়ে ২০২২ সালে ১২ মে প্রায় ৪১ লক্ষ চা গাছ ও কিছু বড় গাছ উপড়ে ফেলা হয়েছিল। শ্রমিকরা প্রতিবাদ করলেও সেই প্রতিবাদ অগ্রাহ্য করে এই বিপুল সংখ্যক গাছ কেটে ফেলা হয়েছিল। এত পরিমাণ গাছ কেটে নেওয়ার ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট অবশ্যই হবে। অবশেষে অসংখ্য শ্রমিকের প্রার্থনা শুনেছে ঈশ্বর। খালি জমিতে বিমানবন্দর তৈরি পরিকল্পনার কথাও জানানো হয়েছে আদালতের পক্ষ থেকে।