দেশ

নিউজক্লিক ইউএপিএ মামলাঃ রাজসাক্ষী অমিত চক্রবর্তীকে মুক্তির নির্দেশ দিল্লি হাইকোর্টের

NewsClick UAPA Case: Delhi High Court Orders Release Of Approver Amit Chakraborty

The Truth of Bengal: দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে লাগু করা হয় ইউএপিএ।এই  আইনের মাধ্যমে বহু অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।নিউজক্লিক পোর্টালের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে চিনের হয়ে প্রচার করার।অর্থের বিনিময়ে এই দেশবিরোধী প্রচার করা হয় বলে কেন্দ্রীয় সরকার মনে করছে। সেজন্য নিউজক্লিকের কর্তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে এই কঠোর ধারা। নিউজক্লিকের বিতর্ককাণ্ডের মাঝে বড়সড় মোড় নিল।দিল্লি হাইকোর্ট রাজসাক্ষী অমিত চক্রবর্তীকে মুক্তির নির্দেশ দিল।অমিত চক্রবর্তী সংস্থার মানব সম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক বিভাগের প্রধান।তিনি রাজসাক্ষী হয়ে যান। এখন অমিত চক্রবর্তীর জেল মুক্তি সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করা হচ্ছে।

বিচারপতি স্বর্ণকান্ত শর্মা জানিয়েছেন,আবেদনকারী অমিত চক্রবর্তীর আর্জি মেনেই তিনি এই রায় দিয়েছেন। গতবছর ৩অক্টোবর দিল্লি পুলিশ তল্লাশি চালায়। অক্টোবরেই প্রবীর চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করা হয়।৪৬জনকে সন্দেহের তালিকায় রাখা হয়েছে।যাদের মধ্যে ৩৭জন পুরুষ এবং ৯জন মহিলা ছিলেন। তল্লাশির সময় বেশকিছু আপত্তিকর নথি উদ্ধার হয় বলে তদন্তকারীরা জানান।এমনকি ইলেকট্রনিক যন্ত্রও উদ্ধার করা হয় নিউজক্লিকের সংবাদবিভাগে যুক্ত ব্যক্তিদের  বাড়ি ও ডেরা থেকে।  সেসময় অন্যান্যদের মতোই   প্রবীর চক্রবর্তীকে জেরা করা হয়।তাঁকে  বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখা হয়। বলা যায় এর আগে রাজসাক্ষী হওয়ার জন্য সুপ্রিমকোর্ট থেকে আবেদন প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন প্রবীর চক্রবর্তী।

উল্লেখ্য,তাঁর গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রথমে সুপ্রিমকোর্টে যান তিনি।কিন্তু দিল্লি হাইকোর্টে মামলা চলার সময় তিনি সেই আবেদন প্রত্যাহার করে নেন।প্রসঙ্গতঃ দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকায় প্রকাশিত হয়,নিউজক্লিকের কর্তারা মার্কিন ধনকুবের নেভিল রায় সিঙ্গমের কাছ থেকে এই গ্রেপ্তারের জন্য সাহায্য নেন।নেভিল কট্টর চিনের সমর্থক বলে দাবি।  বলা যায় অক্টোবরে এবিষয়ে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা ওঠে।যেহেতু নিম্ন আদালত তাঁদের হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয় তাই তাঁরা হাইকোর্টে তা চ্যালেঞ্জ করেন। সেসময় আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দেয়। সাম্প্রতিকসময়ে সুপ্রিমকোর্ট দিল্লি পুলিশের প্রবীর পুরকায়স্থকে দ্রুত হাজির করার বিষয়ে প্রশ্ন তোলে।তার মাঝে দিল্লি হাইকোর্ট অমিত চক্রবর্তীকে মুক্তি দেওয়ার আদেশ দেওয়ায় তা এই মামলার ক্ষেত্রে বড়সড় মোড় বলা যায়।