রাজ্যের খবর

রাজনৈতিক উত্তাপ কমাতে মিষ্টি-বার্তা, হটকেক দলের প্রতীক আঁকা সন্দেশ

Sweet-messages, hotcake party symbols to reduce political heat

The Truth of Bengal: ভোটের ময়দানে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে সব দলের। সেই লড়াই এবার মিষ্টির দোকানে। তবে ভোট ময়দানের লড়াইয়ের মতো তিক্ততা নয়, দেওয়া হচ্ছে মিষ্টি বার্তা। অশান্তির বদলে ছড়িয়ে পড়ুক শান্তি–এই ভাবনায় হাওড়ায় একটি মিষ্টির দোকান হাজির করল নানা দলের প্রতীক আঁকা হরেক সন্দেশ। ক্রেতারা কিনছেন পছন্দমতো প্রতীক দেওয়া সন্দেশ।

চলছে লোকসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যে প্রথম দুই দফার ভোট হয়ে গিয়েছে। এখনও বাকি পাঁচ দফা। যেখানে ভোট বাকি সেখানে এখন প্রচার চলছে জোরকদমে। কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছড়াছে না। রাজনীতির এই লড়াইয়ে এবার হাজির বাংলার ঐতিহ্যের মিষ্টি। তবে ভোট ময়দানের লড়াইয়ের মতো তিক্ততা নয়, দেওয়া হচ্ছে মিষ্টি বার্তা। অশান্তির বদলে ছড়িয়ে পড়ুক শান্তি–এই ভাবনায় হাওড়ায় একটি মিষ্টির দোকান হাজির করল নানা দলের প্রতীক আঁকা হরেক সন্দেশ। নিজস্ব পছন্দের দলের প্রতীক চিহ্ন সম্বলিত সেই মিষ্টি সাধারণ মানুষ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। মিষ্টির দোকানের কর্ণধার জানাচ্ছেন, সাধারণ মানুষ বা রাজনৈতিক দলের সমর্থকদের মধ্যে যাতে মধুর সম্পর্ক থাকে, সেই ভাবনায় এই মিষ্টি তৈরি কড়া হয়েছে। রাজনীতি মানে হিংসা নয়, মিষ্টত্ব। তাই সেই মিষ্টি দিয়েই যদি রাজনীতি করা যায় তা হলে সম্পর্কে আরও মিষ্টতা বাড়বে। সেই জন্য এই মিষ্টি প্রয়াস বলে জানালেন তিনি।

মিষ্টির দোকানে হাজির হয়েছিলেন হাওড়া সদরের বিজেপি প্রার্থী রথীন চক্রবর্তী। রাজনৈতিক প্রতীক আঁকা মিষ্টি নিয়ে নানা কথা বললেও তিনি সন্দেশ দিয়ে সন্দেশখালি নিয়ে খোঁচা দেন। সব দলের প্রতীক আঁকা সন্দেশ থাকলেও তাদের দলের দলের প্রতীক আঁকা সন্দেশের চাহিদা সব থেকে বেশি বলে দাবি করলেন তৃণমূল যুব সংগঠনের সভাপতি অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। মানুষের মধ্যে এই মিষ্টির চাহিদা দেখে তিনি খুশি। ভোটমুখী বাংলায় ভোটের উত্তাপের সঙ্গে হিংসার বদলে মিষ্টি বার্তা দিতেই এমন সন্দেশ তৈরি বলে জানান। এখন দেখার এই মিষ্টি রাজনৈতিক হিংসা ও অশান্তিকে ছাপিয়ে কতটা সম্প্রীতি ও শান্তির বার্তা ছড়াতে পারে।

Related Articles