OMG! এবার কি তবে ভারতে বন্ধ হবে Facebook, WhatsApp এবং Instagram!
OMG! Is Facebook, WhatsApp and Instagram going to be closed in India?

The Truth of Bengal: ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপ সারা বিশ্বের মানুষের মধ্যে খুব পছন্দের। এটি কেবল মানুষের মধ্যে শুধু যে একটি যোগাযোগের মাধ্যম তা নয়, অনেক দফতরে কাজের জন্যও এটি একটি ভাল এবং উপযোগী মাধ্যম হয়ে উঠেছে।
বর্তমানে মেটা-মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ গত কয়েকদিন ধরে বেশ খবরে রয়েছে এবং শোনা যাচ্ছে যে এটি ভারত ছেড়ে যেতে পারে। এর পেছনের মূল কারণ হল এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন প্রাইভেসি ফিচার, যা ভারত সরকারের ২০২১ তথ্য প্রযুক্তি নিয়মের বিরুদ্ধে।
হোয়াটসঅ্যাপ-এর মতে, যদি ভারত সরকারের পক্ষ থেকে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন ফিচার অপসারণের জন্য চাপ আসে, তাহলে আমরা ভারতকে হয়তো বিদায় জানাব।
আইটি নিয়ম ২০২১-এর ৪(২) নিয়মের অধীনে ভারত সরকার এবং হোয়াটসঅ্যাপ-এর মধ্যে একটি যুদ্ধ চলছে বলাই যায়। এই নিয়মের অধীনে, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মকে প্রথমে কে আগে এবং কোথা থেকে বার্তা পাঠিয়েছে সে সম্পর্কে তথ্য দিতে হবে।
মেটা ভারতের আইটি নিয়ম ২০২১ কে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে। এই বিষয়ে, হোয়াটসঅ্যাপ আদালতে বলেছিল যে হোয়াটসঅ্যাপ ইতিমধ্যেই ভাইরাল খবরের বিষয়ে ব্যবস্থা নিয়েছে। যাইহোক, ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তার অধিকারের অধীনে, কোম্পানি তার এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন সরাতে পারে না। হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামের মূল সংস্থা হল মেটা এবং যদি হোয়াটসঅ্যাপ ভারত ছেড়ে যায়, তবে ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামও এখান থেকে চলে যেতে পারে।
বর্তমানে হোয়াটসঅ্যাপ ভারতে একটি অপরিহার্য প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছে। পরিসংখ্যান অনুসারে, এই প্ল্যাটফর্মটির বিশ্বব্যাপী ২.৭৮ বিলিয়ন ব্যবহারকারী রয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশই ভারতীয়। মেটার জন্য ভারত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে কারণ, ৫৩৫.৮ মিলিয়ন ভারতীয় ব্যবহারকারী রয়েছে।
হোয়াটসঅ্যাপ ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে চালু হয়েছিল। এর প্রাথমিক সংস্করণে ক্র্যাশিং সমস্যা শুরু হয়েছিল, তারপরে WhatsApp ২.০ আইফোন দ্বারা আগস্ট ২০০৯ সালে বের করা হয়েছিল এবং ২৫০০০০ জন এটি ডাউনলোড করেছিল, তারপরে এটি ২০১০ সালে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের জন্যও চালু করা হয়। তারপর থেকেই হোয়াটসঅ্যাপকে মানুষ বেশ পছন্দ করছে। সময়ের সাথে সাথে, এর কয়েক বিলিয়ন ব্যবহারকারী বৃদ্ধি পেয়েছে।
আপাতত, ভারত সরকার এবং হোয়াটসঅ্যাপের মধ্যে যুদ্ধের কারণে ইনস্টাগ্রাম এবং ফেসবুকও প্রভাবিত হবে কিনা এবং তারাও হোয়াটসঅ্যাপের সাথে ভারত ছেড়ে যেতে পারে কিনা তা দেখতে হবে।