দেশ

২০২৮এ ভারতের বেকারত্বের হার কমবে ৯৭বেসিস পয়েন্ট,ওআরএফের রিপোর্ট

Unemployment rate down 97s points by 2028

The Truth of Bengal : থিঙ্ক ট্যাঙ্ক অবজারভার রিসার্চের  একটি প্রতিবেদনে স্পষ্ট হয়েছে,ভারতে বেকারত্ব কমেছে।২০২৮এ ৯৭বেসিস পয়েন্ট কর্মহীনতার সংখ্যা কমবে।যদি ভারতের অর্থনীতি ৫ট্রিলিয়নে পৌঁছে যায়।তথ্যে আরও জানা গেছে,২০২৪-এ শ্রমের বাজারে কর্মহীনতার হার ৪.৪৭শতাংশ থাকলেও ২০২৮এ তা নেমে আসবে ৩.৬৮শতাংশে।প্রতিবেদন অনুসারে বলা যায়,কোভিড-১৯-র প্রকোপের পর অর্থনীতির শ্রীবৃদ্ধি ঘটছে বলে দাবি করা হয়েছে।কাজের বাজারে স্বাস্থ্যকর ছবি ফিরে আসার বিষয়ে আশাপ্রকাশ করা হয়েছে। বলা যায়,দেশের যুবসমাজ,যাঁদের বয়স ২৮বছরের বেশি তাঁরাই এই অর্থনীতির সম্প্রসারণের চালিকাশক্তি হয়ে উঠেছে।এই সম্ভাবনার আর্থিক বিকাশ আরও শক্তিশালী হবে যদি দেশের মোট অভ্যন্তরীণ উত্পাদন ৭.৮ শতাংশে পৌঁছে যায়। তাহলে ২০২৬-২৭এ ভারতীয় অর্থনীতি ৫ট্রিলিয়ন এলিট শ্রেণিতে পৌঁছে যাবে বলেও প্রতিবেদনে আশা প্রকাশ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে আর্থিক শ্রীবৃদ্ধির জন্য ব্যক্তিগত ভোগ ও সরকারি বিনিয়োগের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।অর্থনীতির গতিপথ ব্যাখা করে আরও পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে ২০২৪এ ভারতীয় আর্থনীতি ৪ট্রিলিয়নে অনায়াসেই পৌঁছে যাবে। ওএরএফের প্রেস বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ৬০০মিলিয়নের ওপর জনসংখ্যা এই ১৮ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে পড়ছে। অর্থনীতির সুপার পাওয়ার হতে গেলে এই যুবশক্তিকে উত্পাদনের মৌলিক কাজে যুক্ত করা বাঞ্চনীয় বলে অর্থনীতির নীতিকাররা মনে করছেন।উন্নয়নশীল দেশ থেকে ভারত কিভাবে উন্নত দেশে পরিণত হতে পারে তা বিবৃতিতে তুলে ধরা হয়েছে।সেখানে আভাস দেওয়া হয়েছে, সার্ভিস সেক্টর বা পরিষেবা ক্ষেত্রে   বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হতে পারে। এই কার্যকরী ক্ষেত্রে ০.১২ শতাংশ কর্মসংস্থান বৃদ্ধি হতে পারে আগামী বছরগুলোতে।এই পরিষেবার মধ্যে যেগুলো সাব- সেক্টর আছে সেখানে সবথেকে বেশি সুযোগ রয়েছে কাজের।যার মধ্যে অন্যতম হল ডিজিটাল,আর্থিক, স্বাস্থ্য,আতিথেয়তা, খুচরো বিক্রেতা,ই-কমার্স,পুণঃনবীকরণ শক্তি। এছাড়াও বিশ্বব্যাপী ক্যাপাবিলিটি সেন্টার,এমএসএমই,স্টার্টআপ ইকো সেস্টিমেও দ্রুত আর্থিক বৃদ্ধির উজ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। বার্গেনিং সার্ভিস সেক্টরে আবার মহিলাদের কাজের বিশেষ সুযোগ রয়েছে। প্রতিবেদনে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির জন্য মহিলাদের দক্ষতা বৃদ্ধি,আর্থিক সামগ্রিক উন্নয়ন,উদ্যোগপতিদের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

তবে উত্পাদনমূলক ক্ষেত্রে আশাব্যঞ্জক কিছু সেভাবে দেখা যাচ্ছে না।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারত থেকে আমদানি করলেও, ভারতের প্রতিযোগিতামূলক ব্যয় কাঠামো এবং মেক ইন ইন্ডিয়ার মাধ্যমে শ্রমের সম্পদ সৃষ্টি সত্ত্বেও এই সেক্টরে প্রত্যাশিত কাজের সংস্থান বাড়ছে না।আধুনিক প্রযুক্তিগত উন্নতি এবং অটোমেশন বা স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রের ওপর নির্ভরতা বাড়ায় দেশের কর্মশক্তির সুযোগ কমছে।যন্ত্র সভ্যতা কার্যতঃ মানব সম্পদের ব্যবহার কমিয়ে দিচ্ছে বলে বিবৃতিতে তুলে ধরা হয়েছে। এই অবস্থায় পরিষেবা ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত শিল্পের ভ্যালু চেন আগামী দিনে কর্মসংস্থান বাড়ানোর কাজে সহযোগিতা করতে পারে। নীলাঞ্জন ঘোষ,ওআরএফের ডিরেক্টর এবং এই প্রতিবেদন তৈরিতে যিনি মুখ্য ভূমিকা নিয়েছেন তিনি  মনে করেন রাষ্ট্রায়াত্ত সংস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নীতি গ্রহণ করলে কাজের বাজার চাঙ্গা হতে পারে। কাজের সুযোগ কোথায় রয়েছে বা কোথায় ফাঁকফোকর রয়েছে তা পূরণ করা গেলে এই কর্মহীনতার মতো সমস্যা মেটানো যেতে পারে বলে তিনি মনে করছেন।  তাঁর আরও ব্যাখা   যদি উদ্যোগকে শক্তিশালী করা যায় তাহলে ভারতীয় অর্থনীতির শ্রীবৃদ্ধির মতোই চাকরির বাজারও শক্তিশালী হবে। যৌথ উদ্যোগ বা একাধিক অংশীদারের মাধ্যমে শিল্প গড়া গেলে  ভারতের ডিজিটাল শক্তিসম্পন্ন, দক্ষ,সৃজনশীল, আত্মনির্ভর অর্থনীতির পথ পোক্ত হতে পারে বলে প্রতিবেদনে পরিস্কার বার্তা দেওয়া হয়েছে।