বিনোদন
Trending

30 বছরে কান চলচ্চিত্র উৎসবের জন্য নির্বাচিত প্রথম ভারতীয় চলচ্চিত্র কোনটি ? জানেন কি ?

Which is the first Indian film to be selected for the Cannes Film Festival in 30 years? do you know

The Truth Of Bengal :  চলচ্চিত্র নিয়ে বাঙালির মনে আগ্রহের কোন অন্ত নেই। চলচ্চিত্র প্রেমীদের নেশাই হল নতুন নতুন চলচ্চিত্র সম্পর্কে জানা। এবার সিনে প্রেমীদের জন্য আসছে সুখবর। ৭৭ তম বার্ষিক কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের কাউন্টডাউন ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে, আর এই নিয়ে ভারতে শুরু হয়েছে নানান গুঞ্জন। এমতাবস্থায় পরিচালক পায়েল কাপাডিয়ার ‘অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট’ চলচ্চিত্রটি হয়ে উঠেছে ৩০ বছরে বৈশ্বিক ইভেন্টে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা প্রথম ভারতীয় চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রটি ১৪ থেকে ২৫ মে পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হওয়া কান চলচ্চিত্র উৎসবে শীর্ষ সম্মানের জন্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে। কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ইতিমধ্যেই সারা বিশ্বের চলচ্চিত্রের একটি তালিকা তাদের অফিসিয়াল এক্স পেজে শেয়ার করেছে। তারা একটি পোস্ট করে ক্যপশনে লেখেন “ALL WE IMAGINE AS LIGHT – Payal KAPADIA #Competition #Cannes2024,”

কানে কাপাডিয়ার এটাই প্রথম কাজ নয়। এর আগে ২০২১ সালে, তার ‘A Night of Not Knowing Nothing’ কানের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাইডবার ডিরেক্টরস ফোর্টনাইট-এ সেরা তথ্যচিত্রের জন্য গোল্ডেন আই পুরস্কার জিতেছে।

একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালে, কাপাডিয়ার ‘আফটারনুন ক্লাউডস’ সিনেফোন্ডেশন বিভাগের অংশ ছিল, যেটি সমালোচক সপ্তাহ এবং পরিচালকের পাক্ষিকের সাথে উৎসবের সময়ও অনুষ্ঠিত হয়।

কাপাডিয়ার এই চলচ্চিত্রটি বেশ কিছু নামিদামি চলচ্চিত্র যেমন ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলার মেগালোপোলিস থেকে শুরু করে ‘শন বেকারের অ্যানোরা’, ‘ইয়োর্গোস ল্যান্থিমোসের কাইন্ডস অফ কাইন্ডনেস’, ‘পল শ্রেডারের ওহ কানাডা’, ‘ম্যাগনাস ভন হর্নের দ্য গার্ল উইথ দ্য নিডল’ এবং ‘পাওলো সোরেন্টিনোর পার্থেনোপের সাথে একেবারে হাড্ডাহাড্ডির লড়াইতে সামিল হবে।

অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট‘ এর চলচ্চিত্রটি কেন এত বিখ্যাত ?

‘অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট’ মূলত প্রভাকে ঘিরেই আবর্তিত হয়েছে। যেখানে দেখা যাবে দুই নার্সকে যারা একসাথে থাকে। তাদের মধ্যে একজন নার্স, যিনি তার প্রক্তন স্বামীর কাছ থেকে একটি অপ্রত্যাশিত উপহার পান যা তাকে অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে দেয়। এদিকে অন্যজন তার প্রেমিকের সাথে একা থাকার জন্য শহরে একটি জায়গা খুঁজছে।

এরপর ঘটনাক্রমে দেখা যায় তারা দুজনেই একটি সমুদ্র সৈকত শহরে একটি ভ্রমণে যায় যেখানে তারা তাদের ইচ্ছাগুলি অবাধে অন্বেষণ করতে পারে। আর এই চলচ্চিত্রের শেষের দিকে রয়েছে নানান সুন্দর দৃশ্য, যা সাধারন মানুষকে অত্যন্ত অভিভুত করেছে। তাই এটি অত্যন্ত প্রশংসা কুড়িয়েছে দর্শক মহলে।

এছাড়াও ব্রিটিশ-ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা সন্ধ্যা সুরির চলচ্চিত্র ‘সন্তোষ’ও উৎসবের আন সার্টেন রিগার্ড বিভাগের জন্য নির্বাচিত হয়েছে এই ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে। ২০২১ সালে উৎসবে সেরা তথ্যচিত্রের জন্য গোল্ডেন আই পুরস্কার জেতার পর এটি হল কাপাডিয়ার প্রথম কাল্পনিক চলচ্চিত্র।  তাঁর ‘A Night of Knowing Nothing’ নামক তথ্যচ্চিত্রটি ছিল বিচ্ছিন্ন প্রেমিকের কাছে প্রেমের চিঠি লেখার বিষয়ের একটি কাহিনী।

Related Articles