কালো ঝকঝকে রাস্তা ছুঁয়ে আকাশের দিকে দ্রুত গতিতে ছুটে গেল যুদ্ধবিমান
The fighter jet landed on the expressway

The Truth of Bengal: লখনউ আগ্রা এক্সপ্রেসওয়ের কালো ঝকঝকে রাস্তা ছুঁয়ে আকাশের দিকে দ্রুত গতিতে ছুটে গেল সুখোই-৩০ এম কে আই ফাইটার জেট। এমনই এক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এই মহড়া ছিল বায়ুসেনার শক্তি প্রদর্শনের একটি ট্রেলার। তাই যুদ্ধবিমান সুখোই-৩০ এম কে আই কে বিমানঘাঁটিতে না নামিয়ে নামানো হয়েছে লখনউ আগ্রা এক্সপ্রেসওয়ের মসৃণ রাস্তায়।
লখনউ আগ্রা এক্সপ্রেসওয়ের হঠাৎ করেই হয়ে উঠল যুদ্ধ বিমানের মহড়ার প্রাঙ্গন। যে রাস্তা দিয়ে এতদিন চলত গাড়ি, বাস, ট্রাক, এবার কিনা সেই রাস্তা দিয়ে ছুটে চলেছে ভারতীয় যুদ্ধ বিমান। অবাক হচ্ছেন? এই রকমই যুদ্ধ বিমানের একটি মহড়ার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে লখনউ আগ্রা এক্সপ্রেসওয়ে ছুঁয়ে ভারতীয় শক্তিশালী যুদ্ধ বিমান সুখোই-৩০ এম কে আই সোজা উড়ে গেল আকাশের দিকে। এই মহড়া ছিল বায়ুসেনার শক্তি প্রদর্শনের একটি ট্রেলার। যে কারণে যুদ্ধবিমান সুখোই-৩০ এম কে আই কে বিমানঘাঁটিতে না নামিয়ে নামানো হয়েছে কালো ঝকঝকে পিচের মসৃণ রাস্তায়।
ভারতীয় বায়ুসেনা জ কোনও পরিস্থিতিতে তৈরি। ১ লা এপ্রিল থেকে ভারতে শুরু হয়েছে বায়ুসেনার এক বিশাল কর্মযজ্ঞ। শুরু হয়েছে গগণশক্তি ২০২৪। বায়ুসেনার শক্তিপ্রদর্শন করার জন্য ১০ দিন এই বিশেষ মহড়ার দিন হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে। লখনউ আগ্রা এক্সপ্রেসওয়ের মধ্যে দিয়ে এই মহড়া মিশন গগণশক্তির একটা অংশ। আসলে সীমান্তে একদিকে চোখ রাঙাচ্ছে চিন অন্যদিকে সুযোগ পেলেই ভারতের অধিকৃত কাশ্মীর উপত্যাকায় কামড় বসাবে পাকিস্তান। এই পরিস্থিতিতে ভবিষ্যতে যুদ্ধের আবহ তৈরি হলে এক ঢিলে দুই পাখি মারার ক্ষেত্রে ভারত নিজেদের সেনাবাহিনীকে আরও শক্তিশালী করে তুলছে।
সুখোই-৩০ এম কে আই এর শক্তি বাড়াতে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের পক্ষ থেকে ৬০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সুখোই-৩০ এম কে আই এর সক্ষমতা বাড়াতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ডিআরডিও এবং হিন্দুস্তান অ্যারোনেটিক্স লিমিটেডকে। এই ফাইটার জেট বিমানটি প্রায় ২০ বছর আগে রাশিয়ার কাছ থেকে কিনেছিল ভারত। বর্তমানে ভারতের কাছে রয়েছে অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র। মোট ২২ টি অ্যাপাচে রয়েছে ভারতের কাছে। যাদেরকে বলা হয় উড়ন্ত ট্যাঙ্ক। বিশ্বের প্রায় ১৭ টি দেশে রয়েছে এই হেলিকপ্টার। এছাড়াও রয়েছে রাফাল যুদ্ধবিমান, সি ২৯৫ এর মত ট্রান্সপোর্ট বিমান। যাদের নাম শুনলেই কেঁপে ওঠে চিন ও পাকিস্তান।