চৈত্রেই বারাণসীতে গ্রীষ্মের দাবদাহ,দর্শনার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে
kashi vishwanath temple

The Truth of Bengal: প্রচণ্ড গ্রীষ্মের দাবদাহ থেকে দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে বারাণসীর কাশি বিশ্বনাথ মন্দিরে নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থা নেবে মন্দির কর্তৃপক্ষ। খুব শীঘ্রই শুরু হবে নতুন ব্যবস্থা। জায়গায় জায়গায় পানীয় জল, অতিরিক্ত অ্যামবুলেন্স, কাছাকাছি অস্থায়ী হাসপাতাল, মন্দির চত্বরে ছাউনির ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত মন্দির কর্তৃপক্ষের।
মার্চের শেষ থেকেই তীব্র গরমে পুড়ছে উত্তরপ্রদেশের বারাণসী। আর এখানেই রয়েছে হিন্দু ধর্মের পবিত্র তীর্থস্থান কাশি বিশ্বনাথ। প্রতিবছর চৈত্র ও বৈশাখ মাসে লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী কাশী বিশ্বনাথে আসেন পুণ্য লাভের আশায়। এই প্রখর গ্রীষ্মে দর্শনার্থীরা মহাদেবের দর্শন পেতে গিয়ে যেন অসুস্থত হয়ে না পড়েন সেই ক্ষেত্রে মন্দিরের কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে পুণ্যার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই চালু হবে সেই সব ব্যবস্থা।
ভক্তরা বিশ্বাস করেন এই মন্দিরে স্বয়ং বিরাজ করে দেবাদিদেব মহাদেব। শিবের প্রধান মন্দির গুলির মধ্যে অন্যতম এই মন্দির। ভক্তরা এই মন্দিরে গিয়ে কিছু মনস্কামনা করলে অবশ্যই তা পূরণ করেন মহাদেব। তীব্র গরমের হাত থেকে দর্শনার্থীদের রক্ষা করতে মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন মন্দিরের মধ্যে জলের কুলার, ভেজা পাটের মাদুর ও মন্দির চত্বরে ছায়ার জন্য জার্মান হ্যাঙারের ব্যবস্থা করা হবে। মন্দিরের কাছাকাছি করা হবে অস্থায়ী হাসপাতাল, বাড়ানো হবে অ্যামবুলেন্স পরিষেবা। কোন কারণে গরমের চোটে কোন ভক্তই যাতে মাথা ঘুরে পড়ে না যায় সেই জন্য জায়গায় জায়গায় করা হবে পানীয় জলের ব্যবস্থা।
এই গ্রীষ্মের কাঠফাটা রোদ্দুরে সান স্ট্রোক বা হিট স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেড়ে যায়। কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে মহাদেবর দর্শন পেতে পড়ে লম্বা লাইন। এই লাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার জন্য ভক্তদের সান স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তা ঠেকাতেই মন্দির চত্বরের কোনও ফাঁকা অংশে যাতে রোদের ছটা না আসে তাই করা হবে ছাউনির ব্যবস্থা। কেবল মহাদেবের মন্দিরে নয়, প্রচণ্ড গরমে অযোধ্যার রামমন্দিরে ৫ বছরের শিশু রামলালাকে পড়ানো হয়েছে সুতি বস্ত্র। গরমে শুধু মানুষের না, কষ্ট হয় দেবতাদেরও এমনই ধারণা পোষণ করেন রামমন্দিরের পূজারীরা। যে কারণে ছোট্ট শিশু রামলালার কথা চিন্তা করেই গত শনিবার থেকেই রামলালাকে পড়ানো হচ্ছে সুতি বস্ত্র।