এবছরও ‘রং-হীন’ শান্তিনিকেতন, বিকল্প দোল উৎসব এলাকাবাসীর
This time too Visva Bharati authorities did not celebrate the spring festival

The Truth of Bengal: এবারও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ বসন্ত উৎসব পালন করল না। তবে তাতে কী, বিশ্বভারতীর আদলে শান্তিনিকেতন ও বোলপুরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে হল বসন্ত উৎসব। মানুষের উৎসাহ ছিল দেখার মতো। বসন্ত উৎসবে শামিল হন রাজ্যের ক্ষুদ্র ও বস্ত্র কুটিরশিল্প মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বীরভূম জেলা পুলিশের তরফে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল।
বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এই বছরও বসন্ত উৎসব পালন করেনি। কী কারণে বসন্ত উৎসব পালন করেনি, তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেনি কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বিশ্বভারতীর আদলেই শান্তিনিকেতন ও বোলপুরে বিভিন্ন ওয়ার্ডে আয়োজন করা হল বসন্ত উৎসব। শান্তিনিকেতনে রতনপল্লিতে বসন্ত উৎসবে শামিল হন রাজ্যের ক্ষুদ্র ও বস্ত্র কুটির শিল্প মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা। সোমবার সকাল থেকেই রাঙিয়ে দিয়ে যাও গানের মধ্য দিয়ে এই দিনটি পালন করলেন শান্তিনিকেতন ও বোলপুর সহ বাইরে থেকে আসা পর্যটকরা। শান্তিনিকেতনে সোনাঝুড়িতেও কয়েক হাজার মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। উৎসাহের সঙ্গে সবাই মেতে ওঠেন দোল উৎসবে।
শান্তিনিকেতনে রতনপল্লিতে আয়োজিত এই বসন্ত উৎসবে শামিল হয়েছিলেন রাজ্যের ক্ষুদ্র ও বস্ত্র কুটির শিল্প মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা। সাধারণ মানুষের সঙ্গে তিনিও মেতে ওঠেন রঙের উৎসবে। বসন্ত উৎসব বন্ধ করে দেওয়ার জন্য বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে তিনি আক্রমণ করেন।
২০১৯ সালে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ আশ্রম মাঠে শেষ বসন্ত উৎসব পালন করেছিল। ২০২০ ও ২০২১ সালে করোনার জন্য বসন্ত উৎসব বন্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু ২০২২ ও ২০২৩ সালে বিশ্বভারতীর তৎকালীন প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বসন্ত উৎসব বন্ধ করে বলেছিলেন, বসন্ত উৎসব নামে শান্তিনিকেতনে তাণ্ডবলীলা চাই না। এইবছর সবাই ভেবেছিলেন বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সঞ্জয় মল্লিক তিনি বসন্ত উৎসব আয়োজন করবেন। কিন্তু বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এইবছরও আয়োজন করল না বসন্ত উৎসবের। তার আদলে শান্তিনিকেতনে বিভিন্ন ওয়ার্ডে হল বসন্ত উৎসব। একে অপরকে আবির মাখিয়ে এই দিনটি উদযাপন করেন শান্তিনিকেতন বোলপুর সহ বাইরে থেকে আসা পর্যটকরা। আবিরের রঙে রঙিন হয়ে ওঠে শান্তিনিকেতনের আকাশ-বাতাস। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বীরভূম জেলা পুলিশের তরফে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছিল।